The news is by your side.

দেশে জিডিপি বেড়েছে, দারিদ্র্য কমেছে : তথ্যমন্ত্রী

0 81

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৯ সালে ১১ লাখ মানুষ আয়কর দিতেন। গত ১৪ বছরে দেশের জিডিপি ৯ গুণ বাড়লেও আয়কর দেওয়ার হার মাত্র ৩ গুণ বেড়েছে। বর্তমানে ২৯ লাখ মানুষ আয়কর দিলেও অন্তত ২ কোটি মানুষ আয়কর দিতে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

শুক্রবার রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কর-জিডিপির রেশিও নেপালের চেয়েও কম। কিন্তু আমাদের অর্থনীতি তাদের চেয়ে অনেক ভালো। সেজন্য রেশিও তাদের থেকে ভালো হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু মানুষ কর দেয় না।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গত ১৪ বছরে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হতে যাচ্ছে। এ সময়ে বাজেট ৯ গুণ বেড়েছে।

ডলার সংকটে বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শৈথিল্য আসায় বাজেট প্রণয়ন বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারপরও গত বছরের তুলনায় এক লাখ কোটি টাকার বেশি বাজেট এবার উত্থাপন করা হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা বলয় বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এ অর্থবছর থেকেই সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দল দাবি জানায়নি, সরকার নিজে থেকেই এটা করছে।

সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে ২০টি দেশে ইতিবাচক জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এরমধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৮-৯ হলেও ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

সিপিডির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রতিবারই বাজেট ঘোষণার পরপরই তারা বিভিন্ন কথা বলেন। এ বছর বাজেট ঘোষণা চলমান অবস্থায় তারা বলেছে, এই বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাজেট বাস্তবায়ন হবে না।

অথচ বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়নের গড় হার ৯৭ শতাংশ। ডলারের মূল্য না বাড়লে আমাদের মাথাপিছু আয় ৩০০০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেতো। দেশের জিডিপি বেড়েছে, দারিদ্র্য কমেছে। দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে কমে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.