The news is by your side.

লোডশেডিংয়ে হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা চেয়ে পল্লি বিদ্যুৎতের চিঠি

0 76

 

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দিনে ও রাতে চলছে তীব্র লোডশেডিং। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টাই থাকছে না বিদ্যুৎ। তীব্র গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।

এই পরিস্থিতিতে কার্যালয়গুলোতে গ্রাহকদের হামলার আশঙ্কা করছেন পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা। সমিতির পক্ষ থেকে সহযোগিতা চেয়ে রায়পুর থানা-পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মোট গ্রাহক ৯৮ হাজার ৮৫৬ জন। ৯৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ১২টি ফিডের মাধ্যমে চালাচ্ছে সঞ্চালন লাইন। ৩০ জন লাইনম্যান প্রতিদিন গ্রাহকদের সেবা দিয়ে থাকেন। পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ মেগাওয়াট এবং অফ পিক আওয়ারে ১২ মেগাওয়াট। কিন্তু বর্তমানে জাতীয় গ্রিড থেকে পিক আওয়ারে ৮ মেগাওয়াট দেওয়া হচ্ছে।

আর অফ পিক আওয়ারে ৫ মেগাওয়াট। এ অবস্থায় উপজেলার প্রায় অর্ধেক এলাকা অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎহীন থাকে। একেকটি লাইনে গড়ে ১৫-১৬ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে কবে সমস্যা কমবে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা নেই।

রায়পুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির এডিজিএম মো. মামুনুর রহমান বলেন, জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ কম হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কী কারণে সরবরাহ কম, তা তারাও জানেন না। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

রায়পুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম শাহাদাত হোসেন বলেন, হঠাৎ লোডশেডিং চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড গরমে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় গ্রাহকদের ক্ষোভ থেকে সংস্থার কার্যালয় ও স্থাপনা রক্ষার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া বলেন, প্রতিদিনই বিদ্যুতের খুঁটিনাটি সবকিছুর খবর রাখা হচ্ছে। এ নিয়ে কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্ত ছড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ নিয়ে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এর আগে ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে বিদ্যুতের দাবিতে রায়পুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে একটি পিকআপ ও ছয়টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.