The news is by your side.

বেশি ঘাটালে কেঁচো বের হয়ে আসবে, কাদেরকে ফখরুল

0 99

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অযথা বেশি ঘাটাবেন না। ঘাটাতে গেলে কেঁচো বের হয়ে আসবে। আপনারা কী করেন, না করেন, গোটা বাংলাদেশের মানুষ জানে। কীভাবে অর্থ উপার্জন করেন সবাই জানে।’

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশে করে বলেছিলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল টাকার বস্তার ওপর শুয়ে আছেন। ফখরুল এখন চাঙা হয়ে গেছেন। টাকা পাচ্ছেন তো। টাকারে টাকা! আরব আমিরাতের টাকা, দুবাইয়ের টাকা। এই তো এল টাকা। ফখরুল মহাখুশি।’

ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, কার কোথায় কত বাড়িঘর আছে। কত টাকা সরিয়েছেন। কীভাবে সরিয়েছেন। কীভাবে নিয়ে গেছেন। সব এই দেশের মানুষ জানে এবং তা প্রকাশিত হবে।

বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আমরা নিজের উপার্জনের টাকা পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করি। দ্য ইজ ভেরি আনফরচুনেট। আমরা এমনটা আশা করি না যে এত বড় রাজনৈতিক দলের একজন সাধারণ সম্পাদক তাঁর মুখ থেকে এ ধরনের অশালীন বক্তব্য আসবে।’

সব রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে ওবায়দুল কাদের এমন মন্তব্য করেছেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ করলে সামাল দিতে পারবেন না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন। সে আক্রমণে তিনি বলেছেন আমরা নাকি দুবাই থেকে টাকা পাই। আর আমি নাকি টাকার ওপর শুয়ে আছি।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করি। আমরা কারও পয়সায় রাজনীতি করি না। আমাদের দলের নেতা–কর্মীরা চাঁদা দিয়ে প্রতিটি সমাবেশ করছে। এটাই হচ্ছে আমাদের বৈশিষ্ট্য। আমরা কারও কাছ থেকে টাকাপয়সা নিয়ে রাজনীতি করি না। আপনারা কী করেন, এটা বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে সবাই জানে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা কে কোথায় হাজার হাজার কোটি টাকার বাড়ি করছেন। কে কোথায় ব্যাংকের লোন নিয়ে পাচার করে দিচ্ছেন। আপনারা কানাডাতে বেগমপাড়া, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করলেন সব খবর রাখি। কে কয়টা ব্যাংকের মালিক হলেন, কারা আমেরিকাতে কতগুলো বাড়ি করেছেন, আর দেশের মানুষের ৪৩ কোটি টাকা দিয়ে সচিবদের জন্য বাড়ি করছেন। এগুলো মানুষের টাকা। এগুলো মানুষের করের টাকা। আপনাদের চেহারার দিকে তাকানো যায় না।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, দলের যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.