১৮ দিন পর দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাহী আদেশে গ্রাহক পর্যায়ে বেড়েছে বিদ্যুতের দাম, একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে পাইকারিতেও।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। বিদ্যুতের এই বর্ধিত দাম বিল মাস ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে।
প্রতি ইউনিটে গড়ে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশ। গত ১৪ বছরে এ নিয়ে ১১তম বারের মতো গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ল বিদ্যুতের দাম।
এর আগে চলতি মাসেই গত ১২ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১৯ দিনের মাথায় আবারও দাম বাড়ানোর বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, এটা নতুন করে বাড়ানো নয়, আগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত নভেম্বরে পাইকারি পর্যায়ে ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ায় বিইআরসি। এটি ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়। ১৪ বছরে এটি ছিল দশম দফায় পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি।
জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সালের ১৩নং আইন) এর ধারা অনুযায়ী ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে জনস্বার্থে ১২ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আবাসিক গ্রাহকদের মধ্যে শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারী লাইফলাইন গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ১৪ পয়সা, শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৬২ পয়সা এবং ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা ১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৩১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৬২ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের জন্য ৬ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ৯৯ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের জন্য ১০ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বেড়ে ১০ টাকা ৯৬ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ওপরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল ১২ টাকা ০৩ পয়সা থেকে বেড়ে ১২ টাকা ৬৩ পয়সা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে পাইকারি দামের বিষয়ে বলা হয়, সরকার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ অনুযায়ী ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে জনস্বার্থে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো) কর্তৃক বিভিন্ন বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানিকে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) মূল্যহার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।