The news is by your side.

ঈদের পর বাজারে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

0 23

ঈদুল ফিতরের পর রাজধানীর বাজারে নতুন করে পেঁয়াজ, আলু, আদা ও রসুনের দাম বাড়ছে। ঈদের কয়েক দিন আগের তুলনায় রাজধানীর খুচরা বাজারে এসব পণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আলুর আমদানি অব্যাহত রয়েছে, তার পরও দেশের বাজারে বাড়ছে দাম।

এখনো চড়া দামেই বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাছ ও মাংস।

চাহিদা কমায় ডিম ও সবজির দাম কিছুটা ক্রেতার নাগালের মধ্যে রয়েছে। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পর বাজারে আলু, পেঁয়াজ ও রসুনের সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় নতুন করে দাম বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার ও বুধবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, মহাখালী কাঁচাবাজার ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি শেষে এখনো পুরোপুরিভাবে জমে ওঠেনি বাজারগুলো। ব্যবসায়ীরা বাড়ি থেকে না আসায় অনেক দোকান এখনো বন্ধ।

ক্রেতার সমাগমও কম। বেশির ভাগ খুচরা দোকানেই ৬০ টাকা কেজিতে, কিছু দোকানে ৫৫ টাকায় আলু বিক্রি হচ্ছে। অথচ ঈদের কয়েক দিন আগেও আলুর দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজ মানভেদে কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ঈদের আগে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

১৫০ থেকে ১৬০ টাকার দেশি রসুনের দাম বেড়ে এখন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে আমদানীকৃত রসুনের কেজি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদার দামও কেজিতে মানভেদে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারের আড়তদার জালাল উদ্দিন বলেন, ‘এখন অনেকে বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ না করে সংরক্ষণ করছেন। যার কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে।

আবার হিমাগারে ব্যাপকভাবে আলু রাখার কারণে বাজারে সরবরাহে টান পড়েছে।’

ঈদের পর চাহিদা কমায় মাংসের দাম কিছুটা কমলেও এখন আবার দাম চড়েছে। এখনো আগের চড়া দামে সোনালি মুরগি কেজি ৩৫০ টাকায় এবং গরুর মাংস কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ঈদের আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ২৬০ টাকায় উঠলেও এখন চাহিদা কমায় ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

টমেটো, বেগুন, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গাসহ বেশ কিছু সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কিনতে পারছে ক্রেতারা। তবে ভালোমানের গোল বেগুন কেজি ৮০ টাকা পর্যন্তও বিক্রি হচ্ছে। করলা কেজি ৬০ টাকায়, শজনে কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকায়, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

হিলিতেও বাড়তি আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত সোমবার ও মঙ্গলবার ভারতীয় ৫০ ট্রাকে এক হাজার ২৮৪ টন আলু আমদানি হয়েছে। তার পরও বাড়তি আলুর দাম। আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে আলুর ক্ষতি হয়েছে, সে কারণে ভারতেই দাম বেশি।

গতকাল দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশীয় কাটিলাল আলু ৪৫ টাকা আর গুটিলাল আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন ৮০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১০০ টাকা। চায়না আদা আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি, এখন ৬০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা হয়েছে। দেশীয় পেঁয়াজ ১৫ টাকা বেড়ে এখন ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ঈদের আগে হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে ছিল। তবে কয়েক দিনের মধ্যে দাম কমে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.