The news is by your side.

আওয়ামী লীগে  তৃণমূলই দলের প্রাণ, মূল শক্তি ! বাস্তবতা কি বলছে ?

0 91

বর্ণচোরা অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূল আওয়ামী লীগের জন্য শঙ্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৌশলে দায়িত্বপ্রাপ্ত একশ্রেণির নেতাদের ম্যানেজ করে ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবিও বাগিয়ে নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন।

অনুপ্রবেশকারীদের ভিড়ে অনেকটা কোণঠাসা ত্যাগী নেতাকর্মীরা। কৌশলে প্রভাবশালী হয়ে প্রকৃত আওয়ামী লীগারদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন।  অথচ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই বলে আসছেন, ‘বিভিন্ন সংকটে দলের বড় নেতারা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলেও তৃণমূল সব সময়ই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৃণমূলই দলের প্রাণ, মূল শক্তি।’

সেই তৃণমূল আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের টার্গেট করছে স্বাধীনতা ও আওয়ামীবিরোধী চিন্তাধারার ব্যক্তিরা। তারা দলে ভিড়ে ত্যাগী নেতাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করছে। তৃণমূল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যারা নিবেদিতপ্রাণ বলে পরিচিত ছিলেন, দলের দুর্দিনে যারা ত্যাগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন, আজ তারাই নিপতিত হয়েছেন চরম দুর্দিনে।

আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশনার পরেও মূল্যায়ন হচ্ছে না তৃণমূলের ত্যাগী নেতাদের। শুধু তা-ই নয়, অনুপ্রবেশকারীদের রোষানলেও পড়তে হচ্ছে আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের। দলের দুঃসময়ে যারা এগিয়ে আসেন, তাদের কেন মূল্যায়ন হয় না—এখন এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি ঘরানার এক শিল্পপতির দুই ছেলে (বয়স ১৯ ও ২১ বছর) মহানগর আওয়ামী লীগের দুই থানা (শ্যামপুর ও কদমতলী) কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

গত ১৭ এপ্রিল ২০২২ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনাসভায় মুজিবনগর সরকারের অন্যান্য নেতার পাশাপাশি খুনি খন্দকার মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এক শীর্ষ নেতা। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল থেকে নির্বাচিত। এ নিয়ে ব্যাপক সামালোচনা শুরু হলে এ ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমা চান এবং বিষয়টি ‘অনিচ্ছাকৃত’ বলে উল্লেখ করেন।

পাঁচটি জেলা আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতা জানান, বাংলাদেশ থেকে যারা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনে বাধা দিয়েছে, তাদের আওয়ামী লীগে রাখার যৌক্তিকতা কী?

তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের পদ-পদবি পেতে অর্থ বিনিয়োগকারী এবং অর্থ বিনিয়োগে সহায়তাকারী নেতাদেরও চিহ্নিত করা প্রয়োজন। অনতিবিলম্বে যদি আওয়ামী লীগের এই অনুপ্রবেশকারীদের দাপট ঠেকানো না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের জন্য অশনিসংকেত তৈরি হবে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত শান্তি কমিটির প্রধান বা গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এমন ব্যক্তি ও তাদের সন্তান-স্বজনদের কেউ কেউ নানা কৌশলে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোতে ঢুকে পড়েছেন।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে ত্যাগের মূল্যায়ন পাচ্ছেন না দুর্দিনের নেতারা। অন্যদিকে দলে অনুপ্রবেশকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। সারা দেশে দলের একটি বড় অংশ বঞ্চিত। দলের একশ্রেণির প্রভাবশালী নেতাদের ব্যক্তিগত বলয়ের কারণে তারা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করার জন্য একাধিক বার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ত্যাগীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে—এমন শত শত অভিযোগ জমা পড়েছে ধানমন্ডিস্থ দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রে আছি। আমরা চেষ্টা করি ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে। কেন্দ্র মূল্যায়ন করবে মহানগর ও জেলা কমিটিকে। জেলা মূল্যায়ন করবে উপজেলাকে। উপজেলা মূল্যায়ন করবে ইউনিয়নকে। ইউনিয়ন মূল্যায়ন করবে ওয়ার্ডকে। এমনই তো হওয়ার কথা ছিল।

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.