The news is by your side.

আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তন করে নিজেদের জনগণের খাদেম বলে বিবেচনা করুন: : প্রধানমন্ত্রী

0 121

 

জাতীয় স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিয়ে দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদার সঙ্গে জনসেবা করতে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমলাতান্ত্রিক আচরণ নয়, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদা নিয়ে জনসেবা করতে হবে।’

বুধবার (২ নভেম্বর) বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ১২৪, ১২৫ এবং ১২৬তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‌পাকিস্তান আমলে একজন বাঙালি সেক্রেটারি হওয়ার সুযোগ পায়নি। অথচ জ্ঞানে সবচেয়ে উৎকর্ষ বাঙালিদের বেশি ছিল, তারপরও স্থান পায়নি। এ কথা মনে রাখতে হবে, একজন সচিব বাঙালি ছিল না। কোনো জেনারেল, মেজর জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার বাঙালি ছিল না। একজন মাত্র কর্নেল হতে পেরেছিল। সব পদ তারাই দখল করেছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমরা সবকিছুই হতে পারছি, সেটা দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই। এ কথা মাথায় রেখে সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের ভাগ্যবদলে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮-এর নির্বাচনে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম রূপকল্প ২০২১। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করে আমরা আমাদের নির্দিষ্ট কাজগুলো করি। পাশাপাশি জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) সফলভাবে বাস্তবায়ন করি। এখন এসডিজি ২০৩০ (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা), এটাও আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য সমন্বয় করে সব পরিকল্পনা আমরা নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের নীতিমালা হচ্ছে, যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে দ্রুত ফল আসবে, মানুষের কল্যাণে কাজে লাগবে সেটিই নেওয়া হবে। একটা বিরাট অঙ্কের টাকা পেলাম আর একটা পরিকল্পনা নিলাম, সেটা আমরা নেব না।’

বৈশ্বিক পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিটি দেশে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে জ্বালানির দাম বাড়ায় অস্থিরতা বেড়েছে। সে জন্য এই মুহূর্তে করণীয় কী, তা আমাদের ঠিক করতে হবে।’

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মনে করি, যারা এই নবীন অফিসার, তাদের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। এজন অফিসার একটা এলাকায় যখন কাজ করে, ওই এলাকার সার্বিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখার একটা সুযোগ আছে। অনেকে এসে বলবে, এটা-ওটা চাই, এখানে এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে। ওভাবে হবে না। সঠিক পরিকল্প নিয়ে এগোতে হবে। তাহলে আমরা সঠিকভাবে উন্নতি করতে পারব। আমি মনে করি আমাদের নবী অফিসাররা সেভাব ব্যবস্থা নেবেন।’

শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলানয়তনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি ৩টি ব্যাচের ১০৩ জন কর্মকর্তার হাতে সনদ তুলে দেন এবং ফটোসেশনে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এতে আরও বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম এবং একাডেমির রেক্টর (সচিব) মোমিনুর রশিদ আমিন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় ‘১২৪, ১২৫ ও ১২৬তম আইন ও প্রশাসন কোর্স সূচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিসিএস প্রশাসন একাডেমিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োজিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.