করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম ইতোমধ্যে ফ্লাইট বাতিল করেছে। আরও অনেক দেশ এমন পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
সোমবার সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি বৈঠকে আরও সমন্বিত প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
করোনার নতুন ধরন লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।
দেশটির এক শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, করোনার নতুন রূপটি আরও মারাত্মক বা ভ্যাকসিনগুলির বিষয়ে আলাদাভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এটি ৭০ শতাংশেরও বেশি সংক্রামক।
ভাইরাসের নতুন ওই ধরন ছড়িয়ে পড়া আটকাতে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনসহ দক্ষিণপূর্ব ইংল্যান্ডের বড় অংশজুড়ে এখন নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জনসন বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, চার স্তরের বিধিনিষেধের আওতায় বাসিন্দাদের অবশ্যই বাড়িতে অবস্থান করতে হবে।
করোনার নতুন যে ধরন শনাক্ত হয়েছে তা মোটেই ‘নিয়ন্ত্রণে নেই’ বলে সতর্ক করে দিয়ে সবাইকে নতুন কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।
হানকক বলেন, ‘সবাই বড়দিন উদযাপনের নানা পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি আরও বেশি সংক্রামক এবং আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তাই সরকারকে দ্রুত এবং বিস্তারিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে।
তিনি বলেছেন, লন্ডনসহ যেসব জায়গায় চার-স্তরের বিধিনিষেধ জারি রয়েছে তা না মানাটা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ হবে।