৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাস আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখন অবধি সরকারিভাবে ১১১৫ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে চীন প্রশাসন। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ হাজার।
সম্প্রতি উহান প্রশের স্যাটেলাইট পিকাচারে গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। দেখা যাচ্ছে, বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইডের মাত্রা এতটাই তীব্র যে সেই এলাকাগুলোকে একেবারে আলাদা করে চিহ্ণিত করা যাচ্ছে।
ডেইলি মেইল এই স্যাটেলাইট ইমেজের খবর প্রকাশ্যে এনেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যমটির বরাত দিয়ে নিউজ এইটটিনের খবর, চীনে করোনা আক্রান্ত ১০ হাজার ব্যক্তির মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্ধারিত অঞ্চলে বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইডের মাত্রা প্রতি ঘন মিটারে ১৩৫০ (µg/m3)। এমনই নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ঘনমিটারে ৮০ এর বেশি সালফার ডাই অক্সাইড থাকলেই তা যথেষ্ট ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। সাধারণ নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টস গণপশু মৃত্যু, প্রচুর কেমিক্যাল বর্জ্য থেকে বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়তে পারে। তবে এ ধরনের মাত্রা হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, উহানে গণহারে করোনা আক্রান্ত মানুষের অগ্নিসৎকার চলছে।
এই গণসৎকারের তত্ত্ব আরও জোরালো হচ্ছে আরেকটি কারণে। উহান ছাড়া আরও একটি জায়গায় বাতাসের সালফার ডাই অক্সাইডের মাত্রা অত্যন্ত বেশি। আর সেটা হল চোংকিয়াং। উহানের পর দক্ষিণ চীনের এই প্রদেশ সবচেয়ে খারাপভাবে করোনা আক্রান্ত। এখানে প্রতি ঘনমিটারে বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ছিল ৮০০। এরপরই চীন নিজেদের দেশে হওয়া মহামারির খবর লুকাতে লাশ জ্বালিয়ে দিচ্ছে তত্ত্বটিতে সিলমোহর দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে।