পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি থাকা খুবই দুঃখজনক মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বাংলাদেশ। শিক্ষার্থীদের মনে যারা সাম্প্রদায়িক উসকানির বীজ বপন করতে চায়, তাদের ভবিষ্যতে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে না। যারা প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িকতার উসকানি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রের দেশ। এ দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক উসকানি সহ্য করা হবে না। বিশেষ করে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে তো মোটেই না। প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি খুবই দুঃখজনক। এটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মনে যারা সাম্প্রদায়িক উসকানির বীজ বপন করতে চায়, তাদের ভবিষ্যতে প্রশ্নপত্রের কাজের সঙ্গে (প্রশ্নপত্র সেটিং-মডারেটিং) সম্পৃক্ত করা হবে না। যারা প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দীপু মনি বলেন, প্রশ্নপত্র সেটিং বা মডারেটিং এমনভাবে হয় যে, যিনি প্রশ্নের সেট করেন তিনি আর সেটি দেখতে পারেন না। আবার যিনি মডারেট করেন তিনিও আর তা দেখতে পারেন না। কোন কোন বিষয় মাথায় রেখে প্রশ্নগুলো তারা করবেন, এ বিষয়ে আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া থাকে।
গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ঢাকা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।