The news is by your side.

১৪ মে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ২০০ কিমি গতিতে আঘাত হানতে পারে

0 99

 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। ফলে ক্রমেই এটি আরো শক্তিশালী হয়ে রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টার পর থেকে ১৫ মে সকাল ৬টার মধ্যে অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত হানতে পারে।

মঙ্গলবার (৯ মে) কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তাঁর ফেসবুকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে স্থল ভাগে আঘাত করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আরো বেশি নিশ্চিত না হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র (সম্ভাব্য) সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না তিনি।

তিনি আরো জানান, স্থল ভাগে আঘাতের স্থানটি নিয়ে এখনো কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। যার কারণে ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারের দিকে কিংবা বরিশাল বিভাগের দিকে সামান্য পরিমাণ ঝুঁকে পড়তে পারে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলা অতিক্রম করার কিছু আশঙ্কা রয়েছে। একইভাবে ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা ডান দিকে সরে গিয়ে কক্সবাজার ও মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করারও কিছুটা আশঙ্কা রয়েছে।

জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ওই গতিবেগে ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় এই দুই জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ৭ থেকে ১০ ফুট ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলো ৫ থেকে ৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.