The news is by your side.

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০ বাংলা গানের ৪টি শাহনাজ রহমতুল্লাহর

0 621

 

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২৪ মার্চ (রবিবার) রাত ১টার দিকে রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ। ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করা শাহনাজ রহমতুল্লাহ ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৭৩ সালে আবুল বাশার রহমতুল্লাহর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির এক কন্যা ও এক পুত্র রয়েছে। তারা হলেন- নাহিদ রহমতউল্লাহ এবং একেএম সায়েফ রহমতউল্লাহ।

১৯৬৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রেডিও ও চলচ্চিত্রে গান গাইতে শুরু করেন সদ্যপ্র‍য়াত শাহনাজ রহমতুল্লাহ। ২০১৪ সালে পঞ্চাশ বছর পূর্তি হয় তার ক্যারিয়ারের।

দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে তিনি গেয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী গান। অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার। রাষ্ট্র তাকে সম্মানিত করেছে একুশে পদকেও। তবে শাহনাজ রহমতুল্লাহ চিরকাল শ্রদ্ধার আসনে থাকবেন বাংলা গানের ইতিহাসে সেরা বিশের তালিকার চার গানের শিল্পী হিসেবে।

২০০৬ সালের মার্চ মাস জুড়ে বিবিসি বাংলার শ্রোতারা তাদের বিচারে সেরা যে পাঁচটি গান মনোনয়ন করেছেন, তার ভিত্তিতে বিবিসি বাংলা তৈরি করেছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০ টি বাংলা গানের তালিকা। সেই তালিকায় চারটি গান রয়েছেন শাহনাজ রহমতুল্লাহর গাওয়া। তার মধ্যে ৯ নম্বরে আছে ‌‌‌‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’ গানটি। এই গানের গীতিকার ও সুরকার খান আতাউর রহমান।

তালিকায় ১৩ নম্বর স্থান দখল করে আছে শাহনাজের গাওয়া ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটি। এই গানের গীতিকার মাজহারুল আনোয়ার ও সুরকার শিল্পীর বড় ভাই আনোয়ার পারভেজ। এই গানটি স্বাধীন বাংলা বেতারের সূচনা সংগীত হিসেবে তৈরি করা হয় ১৯৭০ সালে। এটি বাঙালির জাতীয় স্লোগানও।

তালিকার ১৫ নম্বর গানটি ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’। শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহর গাওয়া এই গানের গীতিকার মাজহারুল আনোয়ার ও সুরকার আনোয়ার পারভেজ।

‘একতারা তুই দেশের কথা বল’ গানটি রয়েছে ১৯ নম্বর স্থানে। এই গানটিও আনোয়ার পারভেজের সুরে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথায় গেয়েছেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ।

তবে গাজী মাজহারুল আনোয়ারেরই লেখায় ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানটি দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি তাদের দলীয় সংগীত হিসেবে বেছে নিলে কিছুটা বিতর্কের মধ্যেও পড়ে যান শাহনাজ রহমতুল্লাহ। এই গানটিও তুমুল জনপ্রিয় বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.