The news is by your side.

সংকট  কেটে যাচ্ছে,  বাংলাদেশকে ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ

0 119

দেশের অর্থনীতিতে তৈরি হওয়া সংকট দূর করতে সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে যে ঋণ চেয়েছে, সে ব্যাপারে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে আইএমএফ। গত দু’সপ্তাহ ধরে ঢাকায় আলোচনা শেষ করেছে সংস্থাটির সফররত মিশনটি।

বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে শেষে হচ্ছে তাদের এই সফর।

ঋণের শর্ত নিয়ে টানা ১৫ দিন সরকারি বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার সঙ্গে দর-কষাকষির পর বুধবার একটি বিবৃতি দেওয়ার কথা সফররত আইএমএফ মিশনের। সফরের আগের দিন মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন আইএমএফ কর্মকর্তারা।

সরকারের সঙ্গে আলোচনাকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমাপনী বৈঠকে। আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শেষ করে বিবৃতি দেবে আইএমএফ মিশন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আলোচনার অগ্রগতি বিবেচনায় তারা মনে করছেন, আইএমএফ ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী। অর্থাৎ আইএমএফ মিশনের অবস্থান ইতিবাচক।

জুলাই মাসে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয় সরকার। এরপর নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্য যাচাইয়ের জন্য দুই সপ্তাহের সফরে ঢাকায় আসে আইএমএফ মিশন। গত ২৬ অক্টোবর থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। মিশনকে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রধানদের। ধারণা করা হচ্ছে, ঋণ পেতে সেসব পরামর্শ মানতে হবে বাংলাদেশকে।

ইতিমধ্যে ঋণ পেতে আইএমএফের কিছু শর্তে নমনীয় হয়েছে সরকার। যদিও শর্তগুলো অর্থনীতির জন্য ভালো হলেও তা সরকারের জন্য বেশ স্পর্শকাতর। বিশেষ করে জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ যেখানে বিপাকে পড়েছেন, এই পরিস্থিতিতে আইএমএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে ভর্তুকি খাতে সংস্কার আনতে হবে। জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে হবে। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত মানতে গেলে জিনিস পত্রের দাম আরও বেড়ে যাবে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিশ্চিত থাকতে পারেন, আইএমএফ বাংলাদেশকে ঋণ দিচ্ছে। তারা এ ব্যাপারে আমাদেরকে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, ঋণের টাকা পেলে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য, বাজেট সহায়তা ও জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় ব্যয় করা হবে। মোট ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেয়া হবে তিন কিস্তিতে। প্রতি কিস্তি ছাড়ের আগে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.