বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে হলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। এবার তামাশার নির্বাচন, আওয়ামী লীগের নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এ জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন হচ্ছে। এই আন্দোলনকে সামনের দিকে দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে উত্তরায় বিএনপির এক পদযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আবারও পাতানো-সাজানো নির্বাচনের আয়োজন চলছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলেন বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান কাটাছেঁড়া করে একটি পাতানো নির্বাচনের জন্য সাজিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ? যে নির্বাচনে ভোট দিতে যায় না মানুষ, সেই নির্বাচন?
তিনি বলেন, আমরা সমমনা দলগুলো গত সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে আন্দোলন করছি। এ আন্দোলন জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন। তারই অংশ হিসেবে আমাদের এ পদযাত্রা কর্মসূচি।
সব নিত্যপণ্যের দাম বিএনপির আমলের তুলনায় বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ আজ কষ্টে আছে। দুই মাসের মধ্যে ১৫ পার্সেন্ট বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এর ফলে কৃষিক্ষেত্রে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কল-কারখানার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সরকার দেশের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পারছে না বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কয়েক মাসে তিনবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বেড়েছে। গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এ জন্য কল কারাখানা চালু রাখতে সমস্যা হচ্ছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উত্তরা-পর্ব থানা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।