সমুদ্র পথে রপ্তানিকৃত রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারে কেনার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ), জি সেভেন ও অস্ট্রেলিয়া।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শনিবার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে।
ফলে এখন থেকে পশ্চিমাদের সমুদ্র পথে আসা রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার বা এর চেয়ে কম দামে কিনতে হবে।
তবে ইউক্রেনের চাওয়া, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ ডলারে বেঁধে দেওয়া হোক।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রস্তাব অনেকটাই মেনে নিল ইউরোপ। পুতিনের চাওয়া ছিল, ৬০ ডলারেই তেল কিনবে পশ্চিমারা। সেই ৬০ ডলারে তেল কেনার ব্যাপারে একমত পশ্চিমারা।
শেষ মুহূর্তের আলোচনার পর, ইইউ প্রেসিডেন্সি অয়েল হ্যাশট্যাগ সম্বলিত এক টুইট বার্তায় জানায় যে, ‘রাষ্ট্রদূতরা সবেমাত্র রাশিয়া থেকে সমুদ্র পথে আসা তেলের মূল্য নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন। ’
চুক্তিটি মূলত গ্রুপ অব সেভেনের (জি-৭) নেতৃত্বে হয়েছে। এর লক্ষ্য তেল বিক্রি থেকে রাশিয়ার রাজস্ব সীমিত করা। কারণ এই তেল বিক্রির রাজস্বই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করে দেশটি।
তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, এই ধরনের চুক্তি তেলের দাম আকাশচুম্বী করতে পারে। কারণ রাশিয়া বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ তেল সরবরাহ করে।
তেলের মূল্যসীমা প্রবর্তনের অর্থ হলো, অংশগ্রহণকারী দেশগুলো কেবলমাত্র সমুদ্রপথে পরিবহণ করা তেল এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনার অনুমতি পাবে, যা নির্ধারিত মূল্যে বা তার নীচে বিক্রি হবে।