The news is by your side.

ভারতের আর যুদ্ধে জড়াবে না পাকিস্তান: শাহবাজ শরিফ

তীব্র অর্থ ও খাদ্যসংকটে পাকিস্তান

0 92

 

প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সংঘাত থেকে মুক্তি চায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের একটাই আশা—‘শান্তি’। ভারতকে সেই শান্তির প্রস্তাব দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে কথা বলতে চান।

দু’দেশের সংঘাতের মূলে এই কাশ্মীর। ভূস্বর্গের অধিকার নিয়ে বহুবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে দুই দেশ। বেধেছে যুদ্ধ। সেই সব যুদ্ধে প্রাণ গিয়েছে দু’দেশেরই কাতারে কাতারে সেনা জওয়ানের। শাহবাজ সেই সমস্ত যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। ৩টি যুদ্ধের জেরে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যেতে বসেছে পাকিস্তান। তাই আর যুদ্ধ নয় এ বার পাকিস্তান শান্তি চায়।’’

শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কাশ্মীর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চান। যাতে এই সমস্যার একটি যথাযথ এবং স্থায়ী সমাধান হয়। শাহবাজের শান্তি বার্তা— ‘‘ভারতীয় নেতৃত্বকে আমি বলতে চাই, আসুন আমরা এক সঙ্গে বসে এক টেবিলে আমাদের যত গুরুতর সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে কথা বলি। কাশ্মীরের মত জ্বলন্ত সমস্যাগুলির সমাধান করি। কারণ আমরা শান্তির বার্তা নিয়ে অগ্রগতি করব, না কি এই ঝগড়া এবং অশান্তি চালিয়ে নিয়ে যাব, তা পুরোপুরি আমাদের উপর নির্ভর করে।’’

গত প্রায় এক বছর ধরে গুরুতর আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে পাকিস্তান। যা সম্প্রতি দেশ জুড়ে খাদ্যসঙ্কট ডেকে এনেছে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন, আর্থিক ভাবে ধুঁকছে পাকিস্তান। হঠাৎ বোধোদয়ের তথা শান্তি আলোচনায় আগ্রহের কারণ কি এই সঙ্কটে নুইয়ে পড়া পরিস্থিতিই? এ প্রসঙ্গে শাহবাজ জানিয়েছেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে যে তিনটে যুদ্ধ হয়েছে, তাতে পাকিস্তান আরও দীন-হীন হয়েছে। প্রতিটি যুদ্ধের পরবর্তী কালে দারিদ্রের সঙ্গে বেড়েছে বেকারত্বের সমস্যাও। আমরা এই অভিজ্ঞতা থেকেই শিক্ষা নিয়েছি। ঠেকে শিখেছিই বলা চলে।’’

কিন্তু এত বছরের সমস্যা কি এত দ্রুত বদলানো সম্ভব? সাক্ষাৎকারে শাহবাজের জবাব, ‘‘আমরা আমাদের প্রতিবেশী বেছে নিইনি। আবার তাদের মেনে না নেওয়ার কোনও অবকাশও নেই। আমাদের পাশাপাশি থাকতেই হবে। তাই আমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করব, না কি যুদ্ধ করে নিজেদের ক্ষতি করব!’’

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.