The news is by your side.

বাংলাদেশের রিজার্ভ বাড়বে, মূল্যস্ফীতি কমবে: আইএমএফ

0 107

 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মনে করছে, বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার এখনকার তুলনায় কমবে। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের পর মঙ্গলবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ নিয়ে এ মূল্যায়ন জানিয়েছে সংস্থাটি।

চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রাক্কলন করেছে আইএমএফ। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি আছে ৯ শতাংশের ওপরে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সোমবার রাতে বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব উপলক্ষে আয়োজিত নির্বাহী পর্ষদের সভায় এসব পর্যালোচনা এসেছে। ওই সভায় দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ছাড়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার মতো।

বাংলাদেশের মুদ্রানীতি আরও সংকোচনের পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। তারা সুপারিশ করেছে- টাকা ডলার বিনিময় হার অধিকতর নমনীয় করতে হবে। সংস্থাটি মনে করছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ। তবে অর্থনীতিতে উচ্চ অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি বজায় থাকবে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিষয়ে দাতা সংস্থাটির পর্যালোচনা হচ্ছে- চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়াবে ২৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।

আইএমএফ মনে করছে, বর্তমানে বৈদেশিক লেনদেনের আর্থিক হিসেবে যে ঘাটতি আছে সেই ঘাটতি থাকবে না। অর্থ বছর শেষে আর্থিক হিসেবে উদ্বৃত্ত থাকবে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আইএমএফ গত জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। গত ফেব্রুয়ারির শুরুতেই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় হয়। সাত কিস্তিতে ৪২ মাসে পুরো ঋণ পাওয়ার কথা রয়েছে। ঋণের গড় সুদের হার ২ দশমিক ২ শতাংশ। আলোচ্য প্যাকেজে দুই ধরনের ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে বর্ধিত ঋণ সহায়তা বা বর্ধিত তহবিল (ইসিএফ অ্যান্ড ইএফএফ) থেকে পাওয়া যাবে ৩৩০ কোটি ডলার।

রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় পাওয়া যাবে ১৪০ কোটি ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এ ঋণ কর্মসূচি চলাকালে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের শর্ত পরিপালন ও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্বিতীয় কিস্তিতে এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ), এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির (ইএফএফ) আওতায় ৪৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং  আরএসএফের আওতায় ২১ কোটি ৯০ লাখ ডলার ছাড় করা হয়।

শর্ত অনুযায়ী জুনভিত্তিক রাজস্ব সংগ্রহ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংগ্রহ না হওয়ায় দ্বিতীয় কিস্তির অর্থছাড়ে প্রথম দিকে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে অক্টোবরে ঢাকা সফরে আসা আইএমএফের মিশনকে সরকার ওই দুটি শর্ত পালন না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়। এ ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি থাকায় দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ে ইতিবাচক প্রতিবেদন দেবে বলে সরকারকে তখন প্রতিশ্রুতি দেয় মিশন।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিশনকে জানানো হয়, অন্যান্য শর্তের ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে দুটি শর্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তবে নির্বাচনের পর এ বিষয়ে জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই কারণ দেখিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণে মার্চ পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়। অন্যান্য শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে গত ১৯ অক্টোবর বিবৃতিতে আইএমএফ মিশন জানায়, ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য প্রথম পর্যালোচনা শেষ করতে বিভিন্ন নীতির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তারা ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.