The news is by your side.

বর্ণিল আয়োজনে কানাডায় উদযাপিত হবে বিজয় দিবস

0 438

জান্নাতুল ফেরদৌস

মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপনে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কানাডার সাস্কাচুয়ান প্রদেশের রেজিনা শহরের বাঙালি কমিউনিটি  বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অব রেজিনা ।

উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ থাকছে রম্য নাটক “ভাড়াটে চাই”।

১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রেজিনা শহরের লিভিং হোপ আলিয়েন্স চার্চে মঞ্চস্থ হবে নাটকটি।

শ্রী নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায় রচিত হাসির নাটক “ভাড়াটে চাই” এর নাট্যরুপ দিয়েছেন ড. জাহিদুল ইসলাম।

নাটকটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে কিপ্টুস বাড়িওয়ালা ভূপেন বাবুকে কেন্দ্র করে, যেখানে অভিনয় করবেন একদল প্রবাসী বাঙালি।

নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র- ভুপেনবাবুর ভাতিজার চরিত্রে অভিনয় করছেন সাইদুর রহমান ।

প্রথমবারের মতো মঞ্চে অভিনয় প্রসঙ্গে ভিশন নিউজ ২৪.কমকে তিনি জানান, “বিগত ২ মাসেরও বেশি সময় সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে সবাই মিলিত হয়েছি রিহার্সাল করতে। ইংরেজির বাইরে নিজের ভাষা চর্চার যে অনন্য সুযোগ এর মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে সেটি এক কথায় অসাধারণ।”

সাইদুরের মতো নাটকটিতে যারা অভিনয় করেছেন তারা সবাই অপেশাদার শিল্পি। তাদেরকে নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানাতে পরিচালক ড. বদরুল মাসুদ বলেন, বাংলাদেশের বাহিরে আমরা যারা বসবাস করি তাদের দেশের প্রতি একটা দুর্বলতা কাজ করে। যে দুর্বলতা হচ্ছে আবেগ, অনুভূতি আর ভালবাসার। সর্বোপরি দেশপ্রেমের।

ড. বদরুল মাসুদ বলেন, দেশপ্রেমে উজ্জীবিত মানুষ যে কোন অসাধ্য সাধন করতে পারে। আমি চেস্টা করেছি এই রকম দেশ প্রেমিক খুঁজে বের করতে যাদের নাটক করার প্রচন্ড আগ্রহ আছে এবং নাটকের চরিত্রের সাথে মানানসই। এসবকিছু বিবেচনায় নিয়ে যাদেরকে প্রস্তাব করেছি সবাই সানন্দে রাজি হয়েছে অভিনয়ের জন্য। তাই অভিনয়ে নবীন হওয়া সত্বেও আমার তেমন কস্ট হয়নি সবাই কে প্রস্তুত করতে। রিহার্সাল ছাড়াও সবাই বাসায় অনেক অনুশীলন করছে। যেটা পরবর্তী রিহার্সালের দিন আমি বুজতে পারি তাদের অভিনয়ের গভীরতা দেখে। সবার আন্তরিক প্রচেস্টায় নাটকের প্রস্তুতি খুব ভালভাবেই এগুচ্ছে। ভাল কিংবা মন্দ সেটা বিচার দর্শক করবে ১৬ই ডিসেম্বর নাটক মন্চস্থ হওয়ার পর। আমরা আশা করছি নাটকটি সবাই উপভোগ করবে।

বিদেশের মাটিতে এরকম একটি বিজয় উৎসব আয়োজনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অব রেজাইনার সভাপতি তানভীর রহমান বলেন, ভিনদেশে,সমগ্র বাঙালি অভিবাসীর সাথে একত্রে এই বিজয়ের আনন্দ উদযাপনের লক্ষ্যে এই দিন থাকছে নানাবিধ আয়োজন। বিকাল ৫ টা থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাংলাদেশীদের সবার অংশগ্রহণে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে দেশাত্মবোধক সঙ্গীত, আধুনিক গান, কবিতা আবৃত্তি, ফ্যাশন শো, নাচ, নাটক এবং রয়েছে আরো বহু চিত্তাকর্ষক আয়োজন।
মূলত দেশীয় সংস্কৃতি এবং দেশাত্মবোধকে জাগ্রত করাই এই আয়োজন মূখ্য উদ্দেশ্য।

Leave A Reply

Your email address will not be published.