The news is by your side.

প্রবাসী বাংলাদেশিদের অপরাধের দ্বায়িত্ব সরকার নেবে না: প্রধানমন্ত্রী

0 85

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের তারা যে দেশের জন্য কাজ করেন, সেসব দেশের আইন কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। আইনভঙ্গ করে কেউ কোনো অপরাধে যুক্ত হলে বাংলাদেশ সরকার তাদের বাঁচাতে ন্যূনতম প্রচেষ্টাও চালাবে না। প্রবাসে কোনো অপরাধীর দায়িত্ব সরকার নেবে না।

মঙ্গলবার কাতারের দোহায় বাংলাদেশ এমএইচ স্কুলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা আনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোন ব্যক্তির অপরাধে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে এটা আর বরদাস্ত করা হবে না।’

তিনি বলেন, যে দেশে থাকবেন সে দেশের আইন মেনে চলতে হবে। যেমন- আপনি কাতারে আছেন, এদেশের যেটা প্রলিত আইন সেটা আপনাদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘কেউ যদি এই আইন ভঙ্গ করেন বা আইন ভঙ্গ করে কোন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন সেই দায় দায়িত্ব কিন্ত আমরা (সরকার) নেব না, কেউ নেবে না। যে দেশে অবস্থান করেন সেই দেশের আইন যদি না মানেন তাহলে সেদেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে এবং এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। কোন অপরাধির দায়িত্ব সরকার নেবে না।’

তিনি বলেন, ‘এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, একজনের জন্য অন্য মানুষগুলো কষ্ট পায়। তাদের বিপদ হয়। সেজন্য আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েই লোক পাঠাতে চাই। যে প্রশিক্ষণটাও অনেকে ঠিকভাবে নেন না।’

ট্রেনিংয়ের সময়কার টাকাটা নিয়ে অনেকে ঘুষ দিয়ে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন মর্মে তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি।

‘অন্তত সকলকে এই বার্তাটা পৌঁছে দেবেন এখানে কেউ যদি কোন অপরাধ করেন সেই অপরাধের দায় দায়িত্ব বাংলাদেশ নেবে না। এটা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই। কারণ, আমাদের এসব কথা শুনতে হয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং প্রবাসে লোক পাঠাবার যে সুযোগটা আমরা পাই সে সুযোগটাও হারিয়ে যায়। আরও ১০টি মানুষের কাজের যে সুযোগটা থাকে সেটা তারা পায় না। একটি মানুষের অপরাধের জন্য অন্য মানুষ শাস্তি পায়,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ায় আপনারাও বুক ফুলিয়ে বলতে পারেন আমার দেশ বাংলাদেশ। সেখানে কারো কোন অপরাধের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এটা কিন্তু মেনে নেয়া যায় না। এটা সহ্য করা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘আজকে অন্তত এটুকু বলতে পারি দেশের মানুষের জন্য দু’বেলা দু’মুঠো খাবার ব্যবস্থাটা করতে পেরেছি। তাদের জীবন মান উন্নত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। গৃহহীনকে ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি, রাস্তা-ঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সামান্য একটু বেশি পাওয়ার লোভে অনেক সময় বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সেটা আপনাদের বিবেচনায় থাকা উচিত।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.