The news is by your side.

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো‘শারদীয় দুর্গাপূজা’

0 130

 

 

বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শারদীয় দুর্গাপূজা’ ।

শাস্ত্রমতে, আজ মর্ত্য থেকে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যান দেবীদুর্গা। পঞ্জিকামতে, বুধবার বেলা ১১টা ৪০ পর্যন্ত দশমী তিথি স্থায়ী হয়। এ সময়ের মধ্যে দশমী পূজা সম্পন্ন করেন পুরোহিতরা। উপবাস থেকে অঞ্জলি প্রদান করেন ভক্তরা।

দশমী উৎসবের অংশ হিসেবে থাকে সিঁদুর খেলা। সনাতন ধর্মের নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পড়িয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। বিজয়া দশমীতে উৎসবের পাশাপাশি দেবীর বিদায়ে বিষন্নতাও কাজ করে ভক্তদের মনে।

ঢাকের শব্দেও বাজে বিষাদের সুর। এবার দেবী দুর্গা গজ বা হাতিতে চড়ে মর্ত্যে আসেন। কৈলাসে ফিরেন নৌকায়। এর ফলে পৃথিবী শস্যে পূর্ণ হয়ে উঠবে-এমনটাই বিশ্বাস সনাতন ধর্মের মানুষের।

৪দিন রাজধানীসহ দেশব্যাপী পূজামণ্ডপগুলোতে পূজা-অর্চণার মধ্যদিয়ে ভক্তরা দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে জাতীয় বিজয়া শোভাযাত্রা বের হয়। রাজধানীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে এক এক করে প্রতিমা পলাশীর মোড়ে আসে। পরে শোভাযাত্রায় যোগ দেয়। শঙ্খ আর উলুধ্বনি, খোল-করতাল-ঢাকঢোলের সনাতনী বাজনার সঙ্গে দেবী-বন্দনার গানের মধ্য দিয়ে হাজারো মানুষ কেন্দ্রীয় এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

পলাশীর মোড় থেকে পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বুড়িগঙ্গা তীরে গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে সদরঘাটের ওয়াইজঘাটের বিনা স্মৃতি স্নানঘাটে প্রতিমা প্রথম বিসর্জন দেওয়া শুরু হয়। প্রতিমা নৌকায় তুলে নদীতে তা বিসর্জন দেওয়া হয়।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওয়াইজঘাটে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও নৌ পুলিশ বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন দেখতে ওয়াইজঘাটে হাজারো মানুষ হাজির হন।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র থেকে জানা যায়, এবার সারা দেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন হয়েছে নির্বিঘ্নে। আজ সকালে দর্পণ-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। পরে বিকাল ৪টা থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।

বিকাল ৪টায় বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের বীণাস্মৃতি স্নানঘাটে শাহজাহানপুর বাংলাদেশ রেলওয়ে পূজা কমিটির প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে রাজধানীসহ সারাদেশে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

ঢাকের বাদ্য আর গান-বাজনা ছাড়া বিদায়ের করুণ ছায়ায় সারিবদ্ধভাবে একে একে বুড়িগঙ্গা নদীতে বিসর্জন দেয়া হয় প্রতিমা। একই সময়ে তুরাগ নদীতে চলে বিসর্জন। রাজধানীর প্রায় অর্ধশত মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয় ওয়াইজঘাটে।

এসময় সড়কে পুলিশের টহল ও নদীতে ছিল নৌপুলিশের টহল।

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.