The news is by your side.

নির্বাচন ঠেকাতে সন্ত্রাস সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি

0 101

বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের কার্যক্রমে তারা বোঝাচ্ছে তারা নির্বাচনে আসবেও না, নির্বাচন করতেও দেবে না। তারা ২০১৩-১৪ সালের মতো আবারও সন্ত্রাস সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। অশুভ আলামতও আমরা পাচ্ছি। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা যাতে তারা মত্ত হয়ে উঠেছে।

বুধবার  বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় দলটির নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের যৌথ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এস সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। নির্বাচন ঠেকাতে একটা চক্রান্ত শুরু হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমনও বলেছেন যে, নির্বাচনে কোনও খারাপ কিছু ঘটলে তার দায় আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। তার মানে তারা ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের দিকে ফিরে যেতে চায়।

তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন করে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে তারা যে  হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল, রক্ত ঝরিয়েছিল, সারা বাংলাদেশে যে ত্রাস তৈরি করেছিল, সে ত্রাসের দিনগুলো ফিরিয়ে আনতে তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।  তখন তারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল, নিগৃহীত হয়েছে, তাই তারা আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন, অর্জন এবং তার ব্যক্তিগত সততা, পরিশ্রম বাংলাদেশের মানুষকে, ভোটারদের এতোটাই মুগ্ধ করেছে যে আজ বিরোধী দলের জন্য শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচনে বিজয়ের কোনও সুযোগ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, আগুন নিয়ে খেলবেন না। নিজেরাই পুড়ে যাবেন। স্বাধীনতা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা আমরা যে কোনও মূল্যে সাংবিধানিক নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা সমুন্নয় রাখবো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।  বিএনপির নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলতে চাই, গণতন্ত্রের ট্রেন নির্বাচনের ট্রেন। কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় না পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনারা নির্বাচনে আসতে চাইলে আসবেন, না আসতে চাইলে আসবেন না। আপনাদের জন্য দেশের সার্বিক অগ্রগতি থেমে থাকবে না। গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা কারও জন্য অপেক্ষা করবে না।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ করাই বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে আপনাদের দলের এক নেতা ভোট চুরি করতে গিয়েছিল। এটা ধরা পড়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে জিততে তারা ব্যালট প্যাপার ছিনতাই করতে গিয়েছে। আজ সকালে নির্বাচনকে পণ্ড করতে হামলা করেছে। ৪০০ জন সন্ত্রাসী পাঠিয়ে জঙ্গি কায়দায় তারা হামলা পরিচালনা করেছে ভোট পণ্ড করার জন্য। ব্যালট পেপার ছিনতাই করতে ব্যর্থ হয়ে দফায় দফায় হামলা করেছে।

বিএনপিকে ‘ভোট চোরের রাজা’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ভোট চোর কাকে বলে? ভোট চোরের রাজা বিএনপি। আর বিএনপি উল্টো আওয়ামী লীগকে বিভিন্ন সময় বলে। তারা আওয়ামী লীগের ওপর চাপাতে চায়। ১ কোটি ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার তারা করেছিল ক্ষমতায় যেতে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সেই ১/১১ বিরাজনীতিকরনের যে অশুভ তৎপরতা, সেই বিরাজনীতি করতে আবার চক্রান্ত শুরু হয়েছে।  শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে হটানোর জন্য আবারও বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সামনের দিনগুলো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, অত্যন্ত কঠিন। আমি সবাইকে আহ্বান করবো, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনেও বিকল্প নাই। আমাদের যে কোনও মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ছোটোখাটো বিষয়ে আমাদের ঐক্যের আভাস দিতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.