The news is by your side.

দেশে কমেছে কোটিপতির সংখ্যা, বেড়েছে   আমানতের পরিমাণ

কোটিপতির সংখ্যা এক লাখ এক হাজার ৯৭৬

0 85

বিশ্ববাজার এবং দেশের ব্যাংক খাতে চলমান অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকে রাখা আমানতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাবধারীর সংখ্যা কমেছে। যদিও এই সময়ের ব্যাবধানে মোট আমানতের পরিমাণ বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে হওয়া হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ঐ বছর জুন প্রান্তিক শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৮ হাজার ৪৫৭ জন। আর সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে কোটিপতির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬ হাজার ৫২০ জনে। হিসাব বলছে, তিন মাসের ব্যবধানে দেশে কোটিপতি কমেছে ১ হাজার ৯৩৭ জন।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৩৪ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮টি। এসব আমানতকারীর হিসাবে জমা ছিল ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৯৫ লাখ ১৪ হাজার ৫১৩টি। তাদের হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। এদের মধ্যে এক লাখ ৬ হাজার ৫২০টি হিসাবে কোটি টাকার উপরে রয়েছে।

১০টি ক্যাটাগরিতে কোটিপতি আমানতকারীদের হিসাব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৩০ জুন শেষে ৫০ কোটি টাকার বেশি হিসাবধারী ছিল ১ হাজার ৮০৫ জন। ৩০ সেপ্টেম্বর তা কমে হয়েছে ১ হাজার ৬৬০ জন। ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার আমানতকারীদের হিসাব গত ৩০ জুন ছিল ৬২১টি। ৩০ সেপ্টেম্বর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫২৩টি। ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকার হিসাব ৩০ জুন ছিল ৩০৭টি, ৩০ সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৯টিতে।

৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকার হিসাবধারী ৩০ জুন ছিল ৫০২টি, সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫৮টিতে। ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার হিসাব কমেছে ২৩টি। জুনে এটি ছিল ৮৮৩টি আর সেপ্টেম্বরে সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৮৬০টিতে। ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার হিসাব আলোচিত সময়ে ১ হাজার ১৫১টি থেকে কমে ১ হাজার ১৪৭টি হয়েছে। আবার ব্যাংকগুলোর ১ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকার আমানতকারীর সংখ্যাও কমেছে।

বিবিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল ৫ জন। ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৯৮টি। এরপর ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে ২ হাজার ৫৯৪টি, ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে ৮ হাজার ৮৮৭টি এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি। ২০২০ সালে ডিসেম্বর শেষে দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০টিতে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কোটিপতি হিসাবের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টিতে পৌঁছায়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.