The news is by your side.

জয়া আহসান, এই মুহূর্তে বাংলার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত মুখ!

0 698

 

 

 

জয়া আহসান? বয়স ৪৭। তিনি নিজে অবশ্য বলছেন তাঁর বয়স সাঁইত্রিশের একদিনও বেশি নয়! উইকিপিডিয়ার তথ্য ভুল!

সর্বত্রই দেখা তারকাদের উত্থান কুড়ির কোঠায়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের প্রোমোশন হয়েছে তন্বী কিশোরী থেকে মা-মাসির রোলে। ব্যতিক্রম আছে। তাঁরা ক্ষণজন্মা। যেমন, মেরিল স্ট্রিপ বা জেমস্ বন্ডের গোয়েন্দা প্রধান জুডি ডেনস্ সত্তর পেরিয়ে তাঁরা পুনর্যৌবন লাভ করেছেন।

জয়া ব্যতিক্রম!

৪৭ অথবা (ওরফে) ৩৭ বছরের এক নারী এই মুহূর্তে বাংলার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত মুখ।

২০১৭-এ লম্বা ইনিংস খেলতে মাঠে নেমেছেন তিনি। শুধু একের পর এক ছবি করা নয়। প্রত্যেক ছবিতে বক্স অফিসের সাফল্যকে সুনিশ্চিত করেছেন জয়া। এ বছর রিলিজ করেছে তাঁর তিনটি ছবি। বক্স অফিসে সাফল্যের নিরিখে ‘দেবী’, ‘বিজয়া’, ‘কণ্ঠ’— তিনটিই সুপারহিট। শুধু এ বছরই নয়। ইতিমধ্যেই জয়া সাজিয়ে নিয়েছেন পরের বছরের বাছাই করা ছবির লম্বা তালিকা।

আসছে অতনু ঘোষের ‘বিনি সুতো’, ‘রবিবার’ জয়ার কেরিয়ারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছবি। এই প্রথম ‘বিনিসুতো’-য় ঋত্বিক চক্রবর্তী আর ‘রবিবার’-এ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন জয়া। অন্য দিকে, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট পরিচালকের ‘অর্ধাঙ্গিনী’-তে একেবারে ভিন্ন মেজাজে দেখা যাবে জয়াকে। তাঁর পরি আর ভূতের ম্যাজিকাল অভিনয় ক্যামেরাবন্দি করেছেন সৌকর্য ঘোষাল। জয়া সেখানে ‘ভূতপরি’। আর সে ছবি প্রেজেন্ট করছেন স্বয়ং কোয়েল মল্লিক! কোয়েল বলছেন, ‘‘জয়ার অভিনয়ের জায়গাটা খুব শক্তিশালী।’’

পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘জয়া ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন দেরিতে। ধন্যবাদ অরিন্দম শীলকে যিনি জয়াকে খুঁজে বার করেছিলেন। ‘আবর্ত’-য় কাজ করতে গিয়ে ওকে আলাদা মনে হয়েছিল। সৌন্দর্যের সঙ্গে একটা ডিগনিটি মানুষ খোঁজে, সেটা পরিণত বয়সেই সম্পূর্ণতা পায়। জয়ার মধ্যে সেটাই আছে। সৃজিত ওকে দিয়ে চমৎকার কাজ করিয়েছে। শিবুও। অতনুও করাচ্ছে। ম্যাচিওর অভিনেত্রী হওয়ার জন্য ওকে নিয়ে নিশ্চয়ই আরও চরিত্র লেখা হবে।’’

এখন কি তবে পরিণত বয়স্ক অভিনেত্রীর সময়?

‘‘সময় পাল্টাচ্ছে। বাংলা ছবির গল্পের সঙ্গে চরিত্রও বদল হচ্ছে। দর্শক ম্যাচিওরড লুক খুঁজছে যা জয়ার মধ্যে আছে। কমবয়সী অভিনেত্রীর চেয়ে পরিণত লুক দর্শককে টানছে যার ওপর ভরসা জন্মায়,’’ বললেন পরিচালক অরিন্দম শীল।

ফিনফিনে শিফন আর সমুদ্রপাড়ে কিশোরীর নাচ— এই ফ্রেমে বাংলার দর্শক আর কোনও শিয়ার ম্যাজিক দেখতে পায় না। বাংলা ছবিতে যুবক-যুবতীকে নিয়ে শুধু প্রেমের গল্পের দিনও শেষ। গল্প যত বাস্তবধর্মী হচ্ছে দর্শক ততই পরিণত মুখ খুঁজছে।

‘‘চরিত্রর চেয়েও আমার মনে হয়, যে ভাবে স্ক্রিপ্ট বেছে বেছে ছবি করে জয়া তাতে ও অনেককে পেরিয়ে যাচ্ছে। ম্যাচিওরড স্ক্রিপ্ট। ওর নানা রকম লুক। যে কোনও চরিত্র অ্যাডপ্ট করে ফেলতে পারে সহজে। দুই বাংলার ডায়ালেক্টও অসম্ভব ভাল বলতে পারে,’’ জয়াকে বিশ্লেষণ করলেন তাঁর ‘এক যে ছিল রাজা’র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।

সৃজিতের সঙ্গে জয়ার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে একসময় গুঞ্জন উঠেছিল টলিউডে। শোনা যায়, সৃজিত নাকি জয়ার জন্য ধর্মান্তরিতও হতে চেয়েছিলেন!

নবাগতা কমবয়সী নায়িকার চেয়ে অনেক দিন ধরে জীবন দেখা অভিনেত্রীর জন্য আলাদা করে চিত্রনাট্য লিখছে টলিউড। যেমন পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল। তিনি বলছেন, ‘‘পপুলার ছবি নয়। শিল্পনির্ভর ছবিকেই পপুলার করতে পারছেন জয়া আহসান।’’ সৌকর্য জানালেন, তিনি ‘ভূতপরি’র চরিত্রই লিখেছিলেন জয়াকে ভেবে। দরকার ছিল রূপসী বাঙালি মুখ। আবার ভূতপরির ম্যাজিকটাও তাঁর স্কিনটোনে ফুটে উঠবে।

বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিকেও বদলে ফেলেছেন জয়া!

‘‘আমি চাইলে সুন্দর সেজে গাছের তলায় দাঁড়িয়ে বহু ছবি করতে পারতাম। করিনি। তার জন্য টাকার লোভ, খ্যাতির লোভ সংবরণ করেছি। চেয়েছিলাম ‘আনকনভেনশনাল’ কিছু করতে। বাংলাদেশে, বিদেশে ‘দেবী’র সাফল্য বলে দিয়েছে ‘ক্রিটিক্যালি অ্যাক্লেমড’ ছবিও ‘জনপ্রিয়’ হতে পারে। আমি সেই রাস্তাটা তৈরি করেছি’’, বললেন ‘কণ্ঠ’ ছবির স্পিচ থেরাপিস্ট জয়া।

সদ্যই বাংলাদেশে মুক্তি পেয়ে ‘কণ্ঠ’ পঁচিশ সপ্তাহে পা দিল। জোরালো জয়ার কণ্ঠস্বর! পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘জয়া যে সময়ে দাঁড়িয়ে আছেন সেখানে তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত বুঝে নেওয়া। তিনি কোনও দলে নেই। রাজনীতি বা গসিপে নেই। শুটের ফাঁকে কোনও দিন কারও সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য শুনিনি ওঁর থেকে।  কাজ ছাড়া তিনি কিছুতে নেই। কৌশিকদার সঙ্গেও যেমন ভাল সম্পর্ক, আমার সঙ্গেও তেমন। অতনুদার সঙ্গেও তেমন। বাংলাদেশে চার বার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া শিল্পী! কিন্তু মেকআপ ভ্যান থেকে খাবার, কিছুই দেখলাম আলাদা চায় না। তার সঙ্গে অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতা। কনটেন্ট যেখানে বাংলা ছবিকে চালাচ্ছে সেই সময়ে জয়ার মতো চরিত্রনির্ভর অভিনেত্রীই উঠে আসবেন। ফলে সব পরিচালকই চাইবেন ওঁর সঙ্গে কাজ করতে।’’

বাংলা ছবির নতুন ধারা, ক্রাফ্ট ভেঙে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। ‘‘ক্রাফ্ট সব সময় জেনেরালাইজড। এ ক্ষেত্রে চার জন অভিনেতা এক ভাবেই চলেন। জয়া ক্রাফটের বাইরে গিয়ে অভিজ্ঞতা দিয়ে অভিনয় করেন। এই অভিজ্ঞতা কুড়ি বছরের মেয়ের কাছে নেই, ফলে তার প্রতিক্রিয়া একপেশে। জয়ার ক্ষেত্রে তা একেবারেই গতানুগতিক নয়। আমার দুটো গল্পের মধ্যেই একাধিক চরিত্র করেছে ও। প্রতিটা চরিত্র অনায়াসে আলাদা করে ফেলতে পারে জয়া। কোথাও সারল্য দরকার, কোথাও কুটিলতা— দুটোর মধ্যেই ও মনটাকে বসাতে পারে! ঋত্বিকও ওইটাই করে। যে কারণে এখন ‘নিউটন’ ছবির নায়ক রাজকুমার রাওয়ের সময়! জয়া এই কারণেই আলাদা,’’ বুঝিয়ে দিলেন পরিচালক অতনু ঘোষ।

‘রাজকাহিনি’-তে জয়ার বিপরীতে থাকা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বললেন, ‘‘ম্যাচিওরড লুকের আবেদনই এখন সবচেয়ে চর্চিত। সেই পরিণত চেহারার যে সম্মোহন তাতে মজেছে বাঙালি দর্শক। জয়ার পরিণত আবেদন তাঁর ইউএসপি। তাঁর সহকর্মী অভিনেত্রীদের প্রতিযোগী হয়ে উঠছেন তিনি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক-প্রযোজকদেরও কৃতিত্ব, তাঁরা জয়াকে নানা রকম চরিত্রে কাজ দিচ্ছেন আর তিনি তা যত্ন সহকারে ডেলিভার করছেন।’’

শুধু ইন্ডাস্ট্রি নয়। ইনস্টাগ্রাম আর ফেসবুকে জয়া এগিয়ে। ইনস্টায় তাঁর ফলোয়ার বারো লাখ। ঋতুপর্ণার এক লক্ষ আটানব্বই হাজার। পাওলির পাঁচ লাখ আট হাজার। স্বস্তিকা সাত লাখ সাত হাজার।

কেন?

নিউটাউনে আইটি সেক্টরে চাকরি করেন নীলিমেশ রায়। সপ্তাহে কম করে দুটো ছবি তিনি দেখেন। সোজাসুজি বললেন, ‘‘আমি রুক্মিণীর ছবির চেয়ে জয়ার ছবি দেখব। ওঁর স্ক্রিন প্রেজেন্সে মাধুর্য আর ডিগনিটি, দুটোই বেরিয়ে আসে। নিজেকে নিয়ে ছেলেখেলা করেন না। দেখলেই সম্মান করতে ইচ্ছে করে। আবার খুব আকর্ষণীয়। কখনও মনে হয়নি উনি ব্যক্তিজীবনে কেমন? ওঁর বয়স কত? এ সবে কিছু যায় আসে না!’’

বাংলা ছবিতে এক ঝাঁক কুশলী অভিনেতা এসেছেন। যিশু, আবীর, পরমব্রত, ঋত্বিক, অনির্বাণ। কোয়েলদের পরে সেই ভাবে তেমন অভিনেত্রী কেউ আসেননি। যদিও ইন্ডাস্ট্রির কিছু দুর্জনের বক্তব্য, যাঁদের নামটাম শোনা যায়, তাঁদের অনেকেই কাজ পান পরিচালক বা প্রোডাকশন হাউজের সঙ্গে সখ্যের সুবাদে। বাংলা সিনেমার হালচাল এমনিতেই খারাপ। আর বক্স অফিসের জন্য এখন আর কোনও সুন্দর মুখের প্রয়োজন হচ্ছে না। স্টার সিস্টেম প্রায় পুরোপুরি চলে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রি থেকে। পরিচালকরাই সত্যিকারের স্টার। তাঁরা কী ভাবে ছবি করেন, কত কম খরচে, সেটাই এখন বিবেচ্য। সিঙ্গাপুর বা মিলানে গিয়ে নাচ বা ফাইট সিকোয়েন্স করার দিন শেষ। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এসেছে রাজনীতি। একবার যাঁরা এখানে ঢুকেছেন, তাঁদের কেরিয়ারের ইতি ঘটে গিয়েছে। দেবের মতো নায়কও শেষ পর্যন্ত ঘর সামলাতে পারেননি। মিমি-নুসরত লোকসভায় যাওয়ার পর স্টুডিয়োতে একেবারেই ডাক পাচ্ছেন না।

রাজনীতির যে কোনও প্রান্ত থেকে জয়া কিন্তু অনেক দূরে। এমনকি ঘরোয়া রাজনীতি থেকেও। শুধু তাই নয়, অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি তাঁর প্রতিভা ও সৌন্দর্যের বুনোটও দর্শকদের মুগ্ধ করে। পরিচালকরাও সেটাকে ভাল ভাবে প্রেজেন্ট করেছেন তাঁদের বলা গল্পে। একইসঙ্গে জয়াও নিজের শক্তিশালী ঘুঁটিগুলোকে সাজিয়ে নিচ্ছেন। এখানেই এগিয়ে গিয়েছেন তিনি।

তিরিশ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিকে দেখেছেন ফিল্ম সমালোচক সাংবাদিক সোমা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘গ্ল্যামারও আছে, অভিনয়ও জানে— এমন অভিনেত্রীর জায়গাটা টালিগঞ্জে এখন ফাঁকা পড়ে আছে। সুচিত্রা, সুপ্রিয়া, সাবিত্রীর পরে দেবশ্রী, শতাব্দীর তো ছবিই নেই। ঋতুপর্ণা এত ছবি করে যে ওঁর ভাল কাজগুলো ভিড়ে হারিয়ে যায়। শুভশ্রী চেষ্টা করছে গ্ল্যামারের সঙ্গে অভিনয় মেশানোর। তবে জয়াই এখন ট্যালেন্ট আর গ্ল্যামারকে মিশিয়ে বুদ্ধি দিয়ে কাজ করছেন।’’

‘‘বাঙালি শুধু ফেসবুকেই নয় সিনেমাতেও নিজেকে খোঁজে। নিজের সমস্যার সমাধান পেতে সে ছবি দেখতে যায়। এই প্রেক্ষিতে ছবির অভিনেত্রীর মধ্যে সে বালখিল্য বা ফ্যান্টাসি খোঁজে না আর। সে তার মতো বা চারপাশে দেখতে পাওয়া মেয়েকেই ছবিতে দেখতে চায়। বাঙালি সমাজ এখন অনেক বেশি রিয়্যালিস্টিক। মেক আপ না করা পরিণত মুখের প্রতি দর্শকের বিশ্বস্ততা তৈরি হচ্ছে।’’

একমত অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলছেন, ‘‘দর্শক এখন শুধুই যুবক-যুবতীর প্রেমের ছবি দেখতে যেতে চান না।’’ এই মনোবিদের মতে, ‘‘বরং প্রসেনজিৎ-গার্গীর প্রেম যদি দেখান হয় জ্যেষ্ঠপুত্র-র মতো ছবিতে দর্শক সেটা দেখতে আগ্রহী। চলচ্চিত্র অনেক এগিয়ে গিয়েছে, সেখানে পরিণত মুখকে বিশেষ চরিত্রে মানুষ ছবি জুড়ে চাইছে।’’

ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ যদি সুলভ হয়ে যায়, ইন্ডাস্ট্রি তাকে ত্যাগ করে। শোনা যায়, পেট্রল পাম্পে শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে পেট্রল নিতে দেখে গাড়ি থামিয়ে উত্তমকুমার তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘ওরে, তুই পেট্রল চুরি আটকাতে গিয়ে নিজের ইমেজের দফারফা করে দিলি!’’ শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের মতো নায়ক। পেট্রল পাম্পে দাঁড়িয়ে পেট্রলের হিসেব দেখবে, এটা যে ‘নায়কোচিত’ নয়! উত্তমকুমার সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন।

এখন ফাংশন, মাচা, পুজো ওপেনিং-এর হিড়িকে স্টারেরা অনেক সুলভ। মিস্টিক দূরত্ব নেই। জয়া একে বাংলাদেশি তায় কথা বলেন পূর্ব বাংলার টানে। তাঁর অ্যাপিল তাই কনভেনশনাল নয়। যারা প্রথাগত তাদের জগৎ ছোট হয়ে যাচ্ছে। যারা প্রথাগত নয় তাদের জগৎ বড় হচ্ছে।

তবে অবশ্য অন্যত্র ও অন্য ক্ষেত্রে বয়সের সংস্কার ধীরে ধীরে ভাঙছে। সবাই এখন স্বাস্থ্য সচেতন। খাওয়া-দাওয়া-খেলাধুলো-যোগ-জিমকেন্দ্রিক মানুষের গড় বয়সটা বেড়ে যাচ্ছে। এর মানে হল যে, মার্কেট বা কনজিউমারের বয়সও বেড়ে গিয়েছে। আগে সিনেমা দেখার গড় বয়স ছিল টিনস বা কুড়ি। এখন সেই কনজিউমারের বয়স বেড়ে গিয়েছে। আঠারো-কুড়ির মানসিকতা চল্লিশ-পঞ্চাশে স্ট্রেচ করে যাচ্ছে। ফলে তন্বী কিশোরীকেই দেখতে হবে, তার কোনও মানে নেই।

ইন্ডাস্ট্রি চাইছে ডিজাইনার অ্যাক্টর। জয়ার পরিণত মুখ, সঙ্গে গ্ল্যামার আর ট্যালেন্টের প্যাকেজ। নায়িকা চরিত্রের গড়পড়তা ধারা থেকে বেরিয়ে জয়া চরিত্রনির্ভর অভিনয়ের রাস্তা ধরেছেন। পরিচালকেরা চরিত্রের খাতিরে জয়াকে বেছে নিচ্ছেন।

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.