The news is by your side.

চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে মানুষের জন্য: প্রধানমন্ত্রী

0 726

 

চলচ্চিত্র শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আজ রোববার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৭ ও ২০১৮ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিকেলে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি।

মাত্র ২৪ মিনিটেই শেষ হয়ে যায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৭ ও ২০১৮’র প্রথম পর্বের আয়োজন। পুরস্কার প্রদান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে সকল বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও গাজীসহ সব মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে অনেক কিছু করেছি। আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের সিনেমা দর্শক হারিয়েছে। কীভাবে দর্শককে আবারও হলে ফেরানো যায় সেজন্য অনেক উদ্যোগ হাতে নিয়েছি আমরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পকলার সবগুলো মাধ্যমের ভেতরে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম চলচ্চিত্র। এর মাধ্যমে মানুষের মনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা সম্ভব। মানুষের মনে গভীর দাগ কাটতে পারে এই চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে মানুষের জন্য। দেশে জঙ্গিবাদ আমরা প্রতিরোধ করছি। শুধু আইনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। চলচ্চিত্র এখানে বিরাট একটা ভূমিকা রাখতে পারে। সেদিকে আপনারা আরও বেশি নজর দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা ঘটনা ও কাহিনী যখন তৈরি হবে সেটা যেন জীবনভিত্তিক হয়। দেশের অনেক শিল্পী বাইরে গিয়েও ভালো কাজ করছেন। দেশেও যেন তারা ভালো কাজ করে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায়। আমরা ভারতের প্রখ্যাত নির্মাতা শ্যাম বেনেগালকে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছি। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। একটা সময় এই দেশে বঙ্গবন্ধুর নামও নেওয়া যেত না। আজকে জাতির পিতার নাম শুধু দেশে নয়, বিশ্বের দরবারে স্থান করে নিয়েছে। ইউনেস্কো বাংলাদেশের সঙ্গে জাতির পিতার জন্মদিন যৌথভাবে পালন করবে বলেছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সিনেমার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দিয়ে গেছেন। এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আগামীতে আরও বড় পরিসরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে ভাবা যেতে পারে। যেমন আমরা যাদের পুরস্কার প্রদান করছি, তাদের কাজের কিছু অংশ তুলে ধরা যেতে পারে এই অনুষ্ঠানে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সকলকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন-শুভেচ্ছা জানাই। আমি আশা করি এখানেই যেন শেষ হয়ে না যায়, আপনারা আমাদের চলচ্চিত্রকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমি নিজে খুব একটা সিনেমা দেখার সুযোগ না পেলেও যখন বিদেশে যাই তখন বিমানে উঠলে আমি বিমানে বসে সিনেমা দেখি এবং আমাদের বাংলা বইগুলো খুঁজে খুঁজে আমি দেখি। আমার খুব ভালো লাগে যে এত চমৎকার সব সিনেমা আমাদের হয়। সেজন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই এবং আমাদের আরও সুন্দর সুন্দর ছবি নির্মাণ হোক সেটাই আমি চাই।’

তাড়াহুড়ো করে অনুষ্ঠান শেষ করার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে একটু তাড়াহুড়ায় আছি। হঠাৎ করে আপনারা জানেন যে আরেকটি অনুষ্ঠান আমার এসে গেছে। বিপিএল উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান, আমাকে বারবার করে বলা হয়েছে ৭টার মধ্যে সেখানে উপস্থিত থাকতেই হবে। তো যাই হোক এজন্য তাড়াহুড়ো করে পুরস্কারটা দেওয়া হলো। তবে ভবিষ্যতে আমি চাই এভাবে না করে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটা আর একটু অন্যভাবে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে, যেমন যখন যাকে দিচ্ছি, যেই সিনেমার জন্য দিচ্ছি তার কিছু ট্রেলার দেখানো, কিছু বর্ণনা দেওয়া এবং একটু সময় নিয়ে করা। তবে আজকে যে তাড়াহুড়োটা হলো এজন্য সত্যি আমি নিজেই দায়ী। তবে ভবিষ্যতে এটা যাতে না হয় সে ব্যাপারে আমরা খেয়াল রাখব।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব আব্দুল মালেক।

Leave A Reply

Your email address will not be published.