The news is by your side.

কঙ্গনার অস্তিত্বই প্রমাণ করে ,প্রতিভা বিফলে যায় না!

0 545

 

 

কঙ্গনা রানাওয়াত। সুশান্তের মৃত্যুর পর বলিউডে ‘স্বজনপোষণ’ নিয়ে মুখ খুলেছেন, সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলিউডে একাধিক হেভিওয়েটদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বলিউড ‘কুইন’। আর তারপর থেকেই বারবার পেজ থ্রির শিরোনামে উঠে আসছে কঙ্গনার নাম। এবার কঙ্গনার তোলা স্বজনপোষণ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন জাভেদ, ফারহান ও জোয়া আখতার। তবে তাঁদেরকে আবারও পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিতে ছাড়েননি কঙ্গনা।

কঙ্গনার তোলা স্বজনপোষণ বিতর্কে সম্প্রতি ‘India Today’র আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মুখ খোলেন জাভেদ আখতার। তাঁর সাফ জবাব, ”কঙ্গনার অস্তিত্বই প্রমাণ করে এখানে প্রতিভা কখনও বিফলে যায় না। ও অত্যন্ত প্রতিভাবান অভিনেত্রী এবং নিজের কেরিয়ারে সফল। তবে ও কিন্তু বহিরাগতও বটে ”। জাভেদ আখতার আরও বলেন, বলিউড একটা বিশাল সমুদ্র। যেখানে প্রেরণা সব সময় সাফল্যের সিঁড়িতে উঠতে সাহায্য করে। তবে Nepotism অর্থাৎ স্বজনপোষণ পৃথিবীর সর্বত্র রয়েছে। জাভেদ আখতারের কথায়, ”আমার যদি টাকা থাকে, সেই টাকা আমি আমার ছেলের পিছনে খরচ করবো, এটাকে কি আপনারা স্বজনপোষণ বলবেন? যদি সেটাই হয়, তাহলে স্বজনপোষণ সর্বত্র বিরাজমান।”

তবে শুধু জাভেদ আখতারই নন, এবিষয়ে জাভেদ আখতারের ছেলে ফারহান আখতারের বক্তব্য, ”যদি কারোর প্রতিভা থাকে, তাহলে সেই প্রতিভা ঠিক রাস্তা খুঁজে নেবে। সেখানে কোনও বাধাই গ্রাহ্য হবে না।” এবিষয়ে জাভেদ আখতার কন্যা জোয়া আখতারের বক্তব্য, ”আমি যদি নাপিত হয়, আর শহরে যদি আমার দোকান থাকে, তাহলে সেই দোকান আমি ভবিষ্যতে আমার ছেলের জন্যই ছেড়ে যাবো। অন্য কোনও নাপিতের জন্য নয়।”

জাভেদ, জোয়া ও ফারহান আখতারের এই বক্তব্যের জবাব দিতে ছাড়েননি কঙ্গনা। তাঁদের সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো লিঙ্ক দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। লিখেছেন, ”ডিয়ার আখতার, আমি মানালির অমরদীপ রানাওয়াতের মেয়ে কঙ্গনা রানাওয়াত। আমি কখনও কি আপনাদের কাছে কাজ বা সাহায্য চেয়েছি? যদি সুস্থ জীবন চান, তাহলে অন্যকেও সুস্থভাবে বাঁচতে দিন। যদি নিজের সন্তানদের এতটাই ভালোবাসেন, তাহলে অন্য কারোর মেয়েকে কেন এভাবে আক্রমণ করেন? কেন বাড়িতে বসে বসে তাঁকে ফোন করে হুমকি দেন? উত্তর দিন?

 

বহু আগে জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে কঙ্গনা অভিযোগ এনেছিলেন, তিনি তাঁকে ফোন করে হুমকি দিয়েছেন। যখন হৃত্বিকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কঙ্গনা মুখ খুলেছিলেন তখনই তাঁকে ফোন করেছিলেন জাভেদ আখতার। ফোন করে বলেছিলেন, ”তুমি রোশন পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নাও। ওরা অনেক বড় পরিবার। তা নাহলে ওরা তোমায় জেলে পাঠাবে। আর সেক্ষেত্র তোমার কাছে শুধুই ধ্বংসের রাস্তা খোলা থাকবে। আর সেক্ষেত্রে আত্মহত্যা ছাড়া আর তোমার কাছে কোনও পথ খোলা থাকবে না।” কঙ্গনার কথায়, তিনি যাতে হৃত্বিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন, সেকারণেই এই হুমকি দিয়েছিলেন জাভেদ আখতার।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.