The news is by your side.

এমসি কলেজে ধর্ষণ: ডিএনএ টেস্টে ৪ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ

0 460

 

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চারজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে ডিএনএ টেস্টে। অন্যরা ধর্ষণে সহায়তা করেছেন। ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, ‘পুলিশের হাতে ইতোমধ্যে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ডিএনএ রিপোর্ট এসেছে। আদালতে আসামিদের জবানবন্দি, ডিএনএ রিপোর্ট সব মিলিয়ে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি চলছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট মহানগর পুলিশের (দক্ষিণ) এক কর্মকর্তা জানান, প্রাপ্ত ডিএনএ রিপোর্টে জানা যায় সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান রনি ও অর্জুন লস্কর ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। মামলার অন্য আসামিরাও ধর্ষণকাণ্ডে সহযোগিতা করেছে বলে পুলিশ সত্যতা পেয়েছে। অভিযোগপত্রের কাজ প্রায় শেষ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে নববিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে করে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন তার স্বামী। সেখানে যাওয়ার পর অভিযুক্তরা তাদের জোর করে কলেজ ছাত্রাবাসে নিয়ে আসে। করোনার কারণে বন্ধ থাকা ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মহানগরের শাহপরান থানায় মামলা করেন।

মামলার পর বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান ওরফে রাজন ও আইনুদ্দিন নামের আরও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

এর আগে গ্রেপ্তারকৃত আট আসামিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তারা।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.