The news is by your side.

ঈদুল ফিতরে নৌপথে বাড়ি ফিরবে মাত্র রাজধানীর ১৫% মানুষ

0 50

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ বছর রাজধানীর সবচেয়ে কমসংখ্যক মানুষ নৌপথে বাড়ি ফিরবে। এই সংখ্যা আনুমানিক ২২ লাখ ৫০ হাজার, যা মোট ঈদযাত্রীর ১৫ শতাংশ। পদ্মা সেতু চালুর আগে এই সংখ্যা ছিল আনুমানিক ৩৭ লাখ। শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) ঈদপূর্ব খাতভিত্তিক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই সব যাত্রী সদরঘাট টার্মিনাল হয়ে লঞ্চে উঠবে। এই সাড়ে ২২ লাখ মানুষের বেশির ভাগ বৃহত্তর বরিশালের যাত্রী। অন্যরা যাবে চাঁদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, নোয়াখালীর হাতিয়াসহ অন্যান্য এলাকায়।

বিড়ম্বনামুক্ত নিরাপদ ঈদ যাত্রার স্বার্থে সরকারি উদ্যোগে বিকল্প ব্যবস্থায় নৌযানের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ঈদুল ফিতরে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ মানুষ ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা ছেড়ে যায়। দুই বছর আগে ঢাকার ঈদযাত্রীদের ২৫ শতাংশ (৩৭ লাখ ৫০ হাজার) নৌপথ ব্যবহার করত। আর সড়ক ও রেলপথে যাতায়াত করত যথাক্রমে  ৫৫ ও ২০ শতাংশ মানুষ।

২০২২ সালের জুনে পদ্মা সেতু চালুর পর চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও হাতিয়া ছাড়া অন্য জেলাগুলোর নৌযাত্রীর হার ৪০ শতাংশ কমেছে, যা মোট ঈদযাত্রীর ১০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ এপ্রিল থেকে সরকারি ছুটি শুরু হবে। তবে ঘরমুখী জনস্রোত কার্যত শুরু হবে ৪ এপ্রিল থেকে। ওই দিন থেকে ঈদ স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস চলাচল করবে। ৪ থেকে ১০ এপ্রিল (ঈদের আগের দিন) পর্যন্ত সাত দিনে সাড়ে ২২ লাখ মানুষ নৌপথে ঢাকা ছাড়বে।

এই হিসাবে প্রতিদিন তিন লাখের বেশি যাত্রী সদরঘাট টার্মিনাল হয়ে গন্তব্যে যাবে।  নৌযান স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, কাগজে-কলমে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের নৌপথ ৪১টি। তবে তীব্র নাব্যতা সংকট ও যাত্রীস্বল্পতার কারণে বড় আয়তনের ও বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল না করায় অন্তত ১০টি নৌপথ এরই মধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। বাকি ৩১টি নৌপথে ঈদ উপলক্ষে আসা-যাওয়া মিলিয়ে ছোট-বড় ১৭৫টি লঞ্চ চলাচল করবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.