The news is by your side.

ইউক্রেন থেকে ইহুদিবাদী ফ্যাসিবাদ দূর করতে চান পুতিন!

0 93

এখনও বহু রুশ নাগরিক বাস করে ইউক্রেনে। ইউক্রেন এক সময় সোভিয়েত রাশিয়ার অংশ ছিল। রাশিয়ার আগ্রাসন পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের রুশভাষীদেরও অতিমাত্রায় প্রভাবিত করেছে। কারণ এ অঞ্চলের কয়েক ডজন শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ লোককে নির্বাসনের শিকার হতে হয়েছে।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন মনে করেন, রাশিয়াবিরোধী প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউক্রেনে থাকা রুশদের অস্বীকার করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এ দ্বন্দ্ব ঘোচাতে চান তিনি।

পুতিনের দাবি, তিনি জাতিগত রাশিয়ানদের রক্ষা করতে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করেন। তিনি ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ (ডি-মিলিটারাইজেশন) করতে এবং দেশটি থেকে ইহুদিবাদী ফ্যাসিবাদ দূর (ডি-নাজিফিকেশন) করতে চান। ইউক্রেন ন্যাটো সদস্যপদ পাক- এটাও পুতিন চান না। তাঁর দাবি, ইউক্রেনের জেলেনস্কি প্রশাসন ও পশ্চিমারা আগ্রাসনকে উস্কে দিয়েছে।

২০০১ সালের ইউক্রেনীয় আদমশুমারিতে দেখা যায়, দেশটিতে জাতিগত রাশিয়ানদের সংখ্যা ৮৩ লাখ ৩৪ হাজার ১০০, যা ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যার ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। পরবর্তী সময়ে এ সংখ্যা আর বাড়েনি; বরং কমেছে। রুশভাষী মানুষও ইউক্রেনে অনেক। ওই শুমারির তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের জনসংখ্যার ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ বা প্রায় এক কোটি ৮৩ লাখ লোক রুশ ভাষা ব্যবহার করে। তাদের মধ্যে ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ জাতিগতভাবে খাঁটি ইউক্রেনিয়ান।

পুতিনের দাবি, ইউক্রেনে এখন রুশ পরিচয় জোর করে পরিবর্তন করানো হচ্ছে। রাশিয়ানদের পূর্বপুরুষদের অস্বীকার করতে কিংবা রাশিয়াকে শত্রু হিসেবে বিশ্বাসে বাধ্য করা হচ্ছে। এটা রাশিয়ানদের প্রতি আক্রমণাত্মক আচরণ। এর পরিণতি গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারের সঙ্গে তুলনীয়। এই কৃত্রিম বিভাজনের ফলে ইউক্রেনে রাশিয়ান জনসংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। যুদ্ধ শুরুর আগেই ‘অন দ্য হিস্ট্রিক্যাল ইউনিটি অব রাশিয়ানস অ্যান্ড ইউক্রেনিয়ানস’ নিবন্ধে পুতিন এসব তথ্য তুলে ধরেছিলেন।

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব কিয়েভ মহিলা একাডেমির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক তারাস কুজিও মনে করেন, যুদ্ধের ফলে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক মৌলিকভাবে ব্যাপক পরিবর্তিত হয়েছে। মারিউপোল, বুচা এবং অন্যান্য স্থানে রুশ সেনারা যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত হয়েছে। ফলে রুশ-ইউক্রেনীয়দের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এখন আগের মতো নেই। রুশ ও ইউক্রেনীয় জাতিগত দ্বন্দ্ব ক্রমেই জটিল হচ্ছে।

বলা হচ্ছে, যুদ্ধের ভয়াবহতায় রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সম্পর্কের ভাঙন এখন ‘নো রিটার্ন’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই ঐতিহাসিক পরিবর্তনের প্রমাণ এখন ইউক্রেনীয় সমাজজুড়ে দেখা যাচ্ছে। বিপুলসংখ্যক ইউক্রেনীয় তাদের দৈনন্দিন ভাষা রাশিয়ান থেকে ইউক্রেনীয় ভাষায় পরিবর্তন করছে।

জারবাদী এবং সোভিয়েত সাম্রাজ্যবাদের অতীত নিদর্শনগুলো অপসারিত হচ্ছে। ইউক্রেনীয়রা ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের ইউক্রেনীয় শাখা পরিত্যাগ করছে। তারা ইউক্রেনের স্বাধীন অর্থোডক্স চার্চে নিজেদের সঁপে দিচ্ছে।

 

80%
Awesome
  • Design

Leave A Reply

Your email address will not be published.