The news is by your side.

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি বাংলাদেশ

0 76

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজটা আগেই নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর তিন ম্যাচের সিরিজে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছিলেন টাইগার সমর্থকরা। কিন্তু সেটি আর হলো না। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩৬ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে সফরকারীরা।

কার্যত বাংলাদেশের ইনিংসের পরেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে ফেলেন অনেকেই। ১২৪ রানের মামুলি সংগ্রহের পর বাংলাদেশ যে ম্যাচ জিততে পারে, সেটি বিশ্বাস করেছেন ঠিক কজন? আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিংয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিং-এ বাংলাদেশ দলের সমর্থকরাও অপেক্ষা করছিলেন, কত দ্রুত শেষ হবে এই ম্যাচ!

ওয়ানডে সিরিজের পর প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও সফরকারী আয়ারল্যান্ড খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে নিজেদের তুলে ধরল ঠিকভাবেই। ফলে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ রুখতে সক্ষম হয়েছে দেশটি।

আজ (৩১ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে মিডল অর্ডার ব্যাটার শামীম হোসেন পাটওয়ারীর ক্যারিয়ার সেরা ৫১ রানে ভর করে ১৯.২ ওভারে মাত্র ১২৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে আইরিশ অধিনায়ক স্টার্লিংয়ের ৭৭ রানে ১৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা।

এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মার্ক এডেইয়ারের প্রথম বলে অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে স্ল্যাশ করতে গিয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। ৫ রান করেই আউট হয়েছেন লিটন। ফলে ৯১ ও ১২৪ রানের পর এবার ওপেনিং জুটি মাত্র ৯ রানেই ভেঙে যায়।

এরপর তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পার্ট টাইম স্পিনার হ্যারি টেক্টরের বলে কার্টিশ ক্যাম্পারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বিদায়ের আগে ৮ বলে ৪ রান করেন তিনি। এরপর দ্রুতই বিদায় নেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও। দলের রান ২৪ থাকতেই ব্যক্তিগত ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।

এদিন ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দেন সাকিব নিজেও। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে পুল করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৬ রানে হোয়াইটের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন টাইগার অধিনায়ক। দলীয় ৪১ রানের মাথায় নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন তাওহিদ হৃদয়। হোয়াইটের বলে হ্যারি টেক্টরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সমান এক চার-ছক্কায় ১২ রান করেন তরুণ এই ব্যাটার।

এরপর দলীয় ৬১ রানের মাথায় জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত রিশাদ হোসেন ৮ রান করে বিদায় নেওয়ার পর শূন্য হাতেই ফেরেন তাসকিন। তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে নাসুমকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন শামীম। নাসুম ১৩ রান করে বিদায় নিলেও অন্যপ্রান্তে দেখেশুনে ব্যাট চালিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা পেয়ে যান শামীম।

তবে ফিফটির পর পরই ইনিংসের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায়ের আগে ৪২ বলে ৫১ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই ১৯.২ ওভারে মাত্র ১২৪ রানে থেমে যায় টাইগারদের ইনিংস। তিনি ছাড়া আর কোনো ব্যাটার বিশের অঙ্কও ছুঁয়ে দেখতে পারেননি।

বোলিংয়ে আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন মার্ক এডেইয়ার। ম্যাথু হামফ্রিস পান ২ উইকেট। এ ছাড়া হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্পার, বেন হোয়াইট, গ্যারেথ ডেলানি ও ফিওন হ্যান্ড প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট পান।

বাংলাদেশের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৭ রানেই ভাঙে আইরিশদের ওপেনিং জুটি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ওপেনার রস অ্যাডায়ারকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। বিদায়ের আগে মাত্র ৭ রান করেন এই ওপেনার। তবে অপর প্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন স্টার্লিং।

তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বল হাতে আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পান শরিফুল ইসলাম। তার প্রথম বলেই উইকেটের পিছনে লিটন হাতে ক্যাচ দিয়ে লরকান টাকারের উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি এই পেসার। ব্যক্তিগত মাত্র ৪ রানে ফিরে যান এই ব্যাটার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.