The news is by your side.

আমাদেরকে কারাগারে নেওয়ার পর কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল: মির্জা ফখরুল

0 92

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদেরকে প্রথম কারাগারে নেওয়ার পর কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টিনের নামে। যা চরম অমানবিক। এক্ষেত্রে কারাবিধি মানা হয়নি।

সোমবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন,  সরকার বিএনপিকে নেতৃত্বহীন করতে আবার পুরনো খেলায় মেতে উঠেছে। মিথ্যা-গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি এবং হয়রানি করে নির্যাতন নিপীড়নের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের কারাগারে নিয়ে যে ধরনের নির্যাতন করে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সরকার আবারও বিএনপিকে মাঠশূন্য করতে চায়। এই পরিকল্পনায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ অনেক সিনিয়র নেতা ও অসংখ্য কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া কারাগারে অমানবিক নির্যাতন শুরু করেছে। মিথ্যা ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় এবং সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে সুচিকিৎসা প্রদানে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বুকে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ রুহুল কবির রিজভী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসে জটিলতা ও হার্টের অসুখসহ বিভিন্ন মারাত্মক অসুখে শারীরিকভাবে অসুস্থ একজন মানুষ। তিনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠার সময় অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না, তাছাড়া তাকে সবসময় লাঠির ওপর ভর করে চলতে হয়। এমন এক পরিস্থিতিতে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে পুরান ঢাকার আদালতে আসার দীর্ঘ পথ প্রিজন ভ্যানে তাকে আনা নেওয়া করা হচ্ছে। এই প্রিজন ভ্যানগুলোতে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। এমনকি কোন কিছু ধরে দাঁড়িয়ে থাকারও ব্যবস্থা নেই। যার জন্য অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীকে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনেই আদালতে আনা নেওয়া করা হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ প্রবিধান ও জেল কোড অনুযায়ী যে কোনো বন্দীকে আদালতে আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে আরামদায়ক পদ্ধতিতে আনা নেওয়ার নিয়ম আছে। এই বিধান থাকা সত্যেও কারা কর্তৃপক্ষ ও দায়িত্বরত পুলিশ আইন অমান্য করে যাচ্ছে। যা চরম অমানবিকতা ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছারই প্রতিফলন এটি।

তিনি আরও বলেন, মূলত রিজভী আহমেদ বর্তমান সরকারের চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তিনি সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে একজন সোচ্চার কণ্ঠ। তাই তিনি সরকারের রোষানলের শিকার। তার মতো একজন জাতীয় নেতা কারাগারে অসুস্থ হলেও তাকে সুচিকিৎসা দিতে কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলী, গুলশান থানার ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহজাহানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের রোষানলে কারাবন্দী আছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে এখন বেপরোয়া ভূমিকায় মাঠে নেমেছে।

তিনি বলেন, আমি অবিলম্বে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সুচিকিৎসা প্রদান এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ বিএনপি’র সকল কারারুদ্ধ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।

 

80%
Awesome
  • Design

Leave A Reply

Your email address will not be published.