The news is by your side.

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি লাভজনক: ওবায়দুল কাদের

0 108

 

ভারতের আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে নানা সমালোচনার মধ্যেই এ চুক্তিটি লাভজনক বলে মন্তব্য করলেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কীভাবে লাভজনক সেই ব্যাখ্যাও দিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। বলছেন, দেশের জনগণের স্বার্থ পুরোপুরি রক্ষা করেই এই চুক্তি হয়েছে।

তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি প্রসঙ্গে হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মনগড়া ও বানোয়াট মন্তব্য করেছে।’

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

আগে গত বৃহস্পতিবার এক দলীয় কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আদানির গ্রুপের সঙ্গে যেই চুক্তি করা হয়েছে, সেটা দেশবিরোধী। জনগণবিরোধী এই চুক্তি বাতিল করতে হবে।’

নিরবচ্ছিন্নভাবে জনগণের বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার আদানির কাছ থেকে একটি লাভজনক চুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে দাবি ওবায়দুল কাদেরের। তিনি বলেন, ‘ভারতের একটি কোম্পানিকে দিয়ে দুই বিলিয়ন ডলার এককালীন বিনিয়োগ করিয়ে, দেশটির অভ্যন্তরে ৬০০ একর জমির ওপর বিদ্যুৎকেন্দ্র বানিয়ে, ভারতের আকাশে কয়লা পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, তা সর্বনিম্ন দামে ক্রয় করে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে এবং সেটা মানুষ ব্যবহার করবে।’

বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেই আদানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বলে দাবি করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ এই চুক্তির ফলে লাভবান হয়েছে। যারা বিদ্যুতের বদলে জনগণকে খাম্বা দিয়েছে, বিদ্যুতের দাবি করায় জনগণের ওপর গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে—তাদের মুখে বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা মানায় না।’

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আবারও নাকচ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি একটি ডেড ইস্যু। দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে সুস্পষ্টভাবে অবৈধ ও অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া অসম্ভব।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষই জানেন, জনগণের নির্বাচিত নয় এমন ব্যক্তি দিয়ে এক মুহূর্তের জন্যও রাষ্ট্র পরিচালনা গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। অনির্বাচিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে জনগণ ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বিশ্বব্যাপী প্রচলিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণই নির্ধারণ করবে কে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের অন্তরে স্বৈরাচারের চেতনা প্রবহমান। যারা একজন দুর্নীতিবাজ পলাতক খুনি আসামির জন্য দলীয় গঠনতন্ত্রে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয় তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। কানাডার আদালত কর্তৃক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্রের প্রধান অন্তরায়। বিএনপি মানেই হলো- দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, খুন-ধর্ষণ; সর্বোপরি জনগণের ওপর নির্যাতন। আর আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন, জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভীতের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সব প্রতিকূলতা জয় করে একটি উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.