ইদানিং শেহনাজ গিলকে নিয়ে পাপারাৎজিদের একাংশ একটু বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও এই অভিনেত্রী-গায়িকাকে সেভাবে কেউ চিনতেন না।
কালার্স চ্যানেলের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’- এ অংশগ্রহণ করেছিলেন শেহনাজ। বিগ বসের ঘরে তাঁর বন্ধুত্ব হয়েছিল সিদ্ধার্থ শুক্লার সাথে। ‘বিগ বস’-এর ওই সিজনটি জিতেছিলেন সিদ্ধার্থ। কিন্তু বিগ বসের ঘর থেকে শেহনাজের সাথে তাঁর গাঢ় বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল। এমনকি মধ্যরাতে সিদ্ধার্থ ও তাঁর পরিবারকে দেখা গিয়েছিল শেহনাজের বাড়িতে এসে তাঁর জন্মদিন পালন করতে।
সিদ্ধার্থ ও শেহনাজের অনুরাগীদের একাংশ এই জুটির নাম দিয়েছিলেন ‘সিডনাজ’। একসাথে কাজ করলেও কোনোদিন সিদ্ধার্থ কিন্তু বলেননি, শেহনাজ তাঁর প্রেমিকা। বরং তাঁদের দুজনকে ঘিরে বিয়ের গুঞ্জনের নিষ্পত্তি তিনি ঘটিয়েছিলেন একটি টুইটের মাধ্যমে। সিদ্ধার্থ লিখেছিলেন, তিনি সিঙ্গল। আপাতত বিয়ের ইচ্ছা তাঁর নেই। এই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে সিদ্ধার্থ পাড়ি দেন না ফেরার দেশে।
সিদ্ধার্থের মৃত্যুর প্রায় সাথে সাথেই একশো শতাংশ স্পটলাইট পড়ে শেহনাজের উপর। সিদ্ধার্থের আকস্মিক প্রয়াণের পর শেহনাজ প্রায় একমাস অন্তরালে ছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রতি মুহূর্তের খবর মিডিয়ার কাছে পৌঁছে দিতেন তাঁর দাদা শেহবাজ ও বাবা সন্তোখ সিং । সন্তোখ যথেষ্ট প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক নারীঘটিত মামলা থাকা সত্ত্বেও সেগুলির সুরাহা হয়নি। শেহবাজও যথেষ্ট প্রভাবশালী। এমনকি সন্তোখ রটিয়েছিলেন, শেহনাজের কোলে মাথা রেখে মারা গিয়েছেন সিদ্ধার্থ। তাঁর কথা মিথ্যা ছিল। কারণ ঘটনার দিন সন্ধ্যার সময় একটি মিটিং থেকে শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে ফিরেছিলেন সিদ্ধার্থ। তাঁর মা রীতা শুক্লার পরামর্শে সামান্য কিছু খাবার খেয়ে নিজের ঘরে বিশ্রাম নিতে চলে যান তিনি। সেই সময় বাড়িতে সিদ্ধার্থ ও তাঁর মা ছাড়া আর কেউই ছিলেন না। ভোররাতে প্রবল শারীরিক অস্বস্তি হওয়ায় সিদ্ধার্থ তাঁর মাকে ডাকেন।
রীতা তাঁকে একগ্লাস জল খেতে দেন। জল খেয়ে আবারও শুয়ে পড়েন সিদ্ধার্থ। কিন্তু ঘুমের মধ্যেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে তাঁর প্রয়াণ ঘটে।
সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পরদিন থেকেই শেহনাজের দিকে স্পটলাইট কাড়ার চেষ্টায় রত হয়েছিলেন শেহবাজ ও সন্তোখ। এমনকি তাঁরা নিজেদের হাতে সিদ্ধার্থ ও শেহনাজের ট্যাটু করিয়েছিলেন। সিদ্ধার্থ বিগ বসের ঘরে থাকাকালীন আরও একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। শেহনাজের সাথে সলমান খান এর বচসা বেঁধেছিল। সেই সময় সলমান, সিদ্ধার্থকে শেহনাজ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, শেহনাজ তাঁর প্রেমে পড়েছেন। কিন্তু কেন সলমান সিদ্ধার্থকে প্রেম নিয়ে সতর্ক করেছিলেন তা তিনি অনস্ক্রিন বলেননি। কিন্তু সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর থেকেই খুব আশ্চর্য ভাবে শেহনাজের স্টারডম আকাশ ছুঁয়েছে।
জনপ্রিয় সঞ্চালক ও নৃত্যশিল্পী রাঘব জুয়াল এর সাথে শেহনাজের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও শেহনাজ তা স্বীকার করতে নারাজ। তাঁর মতে, একসাথে ঘুরতে যাওয়া মানে প্রেম নয়।
অযথাই মিডিয়া এই ঘটনাকে বড় করে দেখাচ্ছে। কিন্তু একাধিক পার্টিতে একসাথে দেখা গেছে রাঘব ও শেহনাজকে। এছাড়াও শেহনাজের দাদা শেহবাজকেও রাঘবের সাথে সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে। দীপাবলীর পার্টিতে প্লাঞ্জিং নেকলাইনের লেহেঙ্গা-চোলির মাধ্যমে সকলের নজরে আসে শেহনাজের লাভ-বাইটস। কিন্তু এই লাভ বাইটস-এর ছবি ভাইরাল হওয়ার পর মুখ বন্ধ রেখেছেন শেহনাজ।