মিয়ানমারের সামরিক শাসন টিকিয়ে রেখেছে চীন, রাশিয়া ও ভারত এবং তাদের সমর্থনের ওপর ভর করেই দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটছে। আন্তর্জাতিক আইনপ্রণেতাদের একটি দল এ মন্তব্য করেছেন। গতকাল প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি বিশেষ করে বেইজিং ও মস্কোর ‘দৃঢ় ও সংশয়হীন’ সমর্থনের কারণে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে দেয়া আসিয়ানের (অ্যাসোসিয়েশন ফর সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স) প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় কোনো ধরনের অগ্রগতি হয়নি। আলজাজিরা।
আট আইনপ্রণেতার ওই গ্রুপটি জানায়, এখন আসিয়ানের ওই পরিকল্পনা ত্যাগ করে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক বিরোধীদলের প্রতি সমর্থন জোরদার করার জোরাল পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে। আসিয়ান মানবাধিকার বিষয়ক পার্লামেন্টারিয়ান গ্রুপের (এপিএইচআর) সহায়তায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে তারা এই মন্তব্য করেন।
তারা জানায়, যেসব দেশ গণতন্ত্রকে সমর্থন করে, তাদের উচিত মিয়ানমারের ছায়া ঐক্য সরকারকে (ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট-এনইউজি) সমর্থন করা। কারণ তারাই এখন দেশটির বৈধ কর্তৃত্ব ধারণ করে। আইনপ্রণেতারা ঐক্য সরকারকে তহবিল এবং বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে অস্ত্র প্রদানের আহ্বানও জানান। তারা অবিলম্বে এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত স্বীকৃতি এবং আন্তঃসীমান্ত সম্পর্কের মাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করছে।