মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ভারতে ইলিশ মাছ ছাড়ের অনাপত্তিপত্র না আসায় বেনাপোল দিয়ে ইলিশ মাছ রপ্তানি করতে পারছেন না রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।
বেনাপোল মৎস্য অফিসের সামনে ও রপ্তানি গেটে মাছভর্তি ট্রাকগুলো দাঁড়িয়ে আছে বুধবার বিকেল থেকে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের অভাবে এ ঘটনা ঘটছে। যেহেতু মাছ একটি পচনশীল পণ্য, সে কারণে দ্রুত এ সমস্যারা সমাধান চান তারা।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতে রপ্তানির উদ্দেশ্যে আসা কয়েকটি ট্রাকে ৪৫ টন ৮০০ কেজি ইলিশের চালান বেনাপোল কাস্টম হাউজ থেকে ছাড় হলেও মৎস্যবিভাগ তা ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিচ্ছে না। কাস্টমসের কাছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ইলিশ মাছ রপ্তানির চিঠি এলেও বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসে ইলিশ মাছ রপ্তানির কোনো চিঠি আসেনি। সে কারণে তারা মাছ রপ্তানির অনুমতি দিতে পারছেন না।
গণি অ্যান্ড সন্স সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি বাপ্পি জানান, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৭৯ প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন করে ইলিশ মাছ রপ্তানির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
যা বাংলাদেশের সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়। প্রজ্ঞাপন জারির পর পরই রপ্তানির ইলিশ মাছের ট্রাক চলে আসে বেনাপোলে।
বুধবার বিকালে ও বৃহস্পতিবার সকালে কাস্টমস থেকে মাছের চালান খালাসের অনুমতি দিলেও মৎস্য অফিস থেকে ছাড়পত্র দিচ্ছে না। সে কারণে মাছ ভারতে রপ্তানি করতে পারছি না।
মাছভর্তি ট্রাকগুলো দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার পাশে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কী কারণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিলো না সেটা আমাদের জানা নেই।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম জানান, আমাদের দপ্তর থেকে ইলিশ মাছ রপ্তানির কোনো চিঠি বা আদেশ এখানে আসেনি। শার্শা ও যশোর অফিস থেকেও এ ব্যাপারে কিছুই জানাননি। চিঠি না আসা পর্যন্ত আমরা ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দিতে পারছি না।