The news is by your side.

কোনও মেজরের বাঁশির ফুঁতে দেশ স্বাধীন হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

0 593

 

 

এই দেশে এমন একটা সময় ছিল যখন মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান সেটাও মুছে ফেলা হয়েছিল। এমনভাবে বিকৃত ইতিহাস তৈরি করা হলো, যেন কোনও এক মেজর বাঁশিতে ফুঁ দিলো আর ওমনি যুদ্ধ হয়ে গেলো আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেলো। অথচ সে নিজেই চাকরি করতো বাংলাদেশ সরকারের অধীনে। ৪০০ টাকা বেতন পেতো। তাকেই ঘোষক বানানোর চেষ্টা হয়েছিল।কোনও মেজরের বাঁশির ফুঁতে দেশে যুদ্ধ শুরু হয়নি বা দেশ স্বাধীন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ভাবলে দুঃখ হয় যে ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের দেশে নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। আমি জানি না যারা এই ভাষণ মুছে ফেলতে চেয়েছিল তারা এখন লজ্জা পায় কিনা। অবশ্য তাদের লাজলজ্জা আছে বলে মনে হয় না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মুজিববর্ষ উদযাপনে অনেক কর্মসূচির চিন্তা করছি। জাতির পিতা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান পায়। তিনি সংবিধানে মৌলিক চাহিদার কথা উল্লেখ করে গেছেন। তার স্বপ্ন ছিল একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এ জন্য তিনি গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। মুজিববর্ষের মধ্যে দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না।’

আওয়ামী লীগের নেতাদের নিজের এলাকায় খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের ঘর নেই তাদের আমরা ঘর করে দেবো। আমরা চাই একটি মানুষও যেন গৃহহারা না থাকে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ আমার এই কথাটা দেশের প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। আপনারা চেষ্টা করেন ঘর করে দিতে। না পারলে আমরা টাকা দেবো ঘর করার জন্য।’

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ সারাবিশ্বের একমাত্র ভাষণ, যা হিসাব করে পাওয়া যাবে না কতজন কত ঘণ্টা এই ভাষণ শুনেছেন। সারা পৃথিবীতে একটি ভাষণ এভাবে দীর্ঘদিন ধরে আবেদন রাখতে পারাটা নজিরবিহীন। বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার জন্য আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। সারাবিশ্বের স্বীকৃতি পেয়েছি। সারাজীবন তিনি সংগ্রাম করেছেন। পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার পরই আমাদের মাতৃভাষার ওপর আঘাত এলো। তারা আমাদের ওপর উর্দু চাপিয়ে দিলো। তখনই বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত নিলেন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা দেশকে স্বাধীন করা ও একটি জাতি সৃষ্টি করা, পৃথিবীর খুব কম রাজনৈতিক নেতাই তা করতে পেরেছেন।’ ৭ মার্চের ভাষণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভাষণ দেওয়ার আগে অনেকেই অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু, জাতির পিতা জানতেন কিভাবে কোন পদক্ষেপ নিতে হবে। ভাষণ দিতে যাওয়ার আগে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন আমার মা। যে কোনও ক্রান্তিলগ্নে আমার মা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। আমার মা বলেছিলেন, তুমি সারাজীবন মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছো। তোমার মনে যে কথা আসবে তুমি সেকথাই বলবে। ভাষণটা দেখলে বুঝবেন তিনি কিন্তু তার মনের কথাই বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ভাষণে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সকলকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। দেশে একটি গেরিলা যুদ্ধে হবে। সেখানে কার কী দায়িত্ব সেকথাও তিনি বলে দিয়েছিলেন। তখন ৩২ নম্বর থেকে যে নির্দেশ আসতো সে অনুযায়ী দেশ চলতো। এমনকি ইয়াহিয়া খান যখন ঢাকায় আসেন তখন বাঙালি বাবুর্চিরা কাজ করবে না বলে জানিয়ে দিলো। তখন ৩২ নম্বরে ফোন আসে আপনারা যখন পর্যন্ত না বলবেন ততক্ষণ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট খাবার পাচ্ছেন না।’

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.