বিনোদন ডেস্ক
সালমান খানের হাত ধরে বহু অভিনেত্রী বলিউডে পা রেখেছেন। তালিকায় আরও কয়েকজনের নাম যুক্ত হতে চলেছে।
ভাইজানের আসন্ন ছবিগুলিতে পাঁচ নায়িকাকে তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে।
পূজা হেগড়ে – সালমান খানের আসন্ন ছবি ‘কভি ঈদ কভি দিওয়ালি’ ছবিতে তাঁর সঙ্গে রোম্যান্স করতে দেখা যাবে সাউথের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা হেগড়কে।
জোরকদমে ছবির শ্যুটিং চলছে। আপাতত দর্শকরা দক্ষিণী সুন্দরীর সঙ্গে বলিউড সুপারস্টারের রসায়ন দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। ফারহাদ শামজি পরিচালিত এই ছবি চলতি বছর ডিসেম্বর মাসে মুক্তি পেতে চলেছে।
সামান্থা রুথ প্রভু – খুব শীঘ্রই বলিউডে পা রাখতে চলেছেন দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। সালমানের খানের মাল্টিস্টারার সিনেমা ‘নো এন্ট্রি ২’এ দেখা যাবে তাঁকে।
শেহনাজ গিল- ‘বিগ বস ১৩’ খ্যাত পাঞ্জাবি নায়িকা শেহনাজ গিল সালমানের হাত ধরেই বলিউডে পা রাখতে চলেছেন। ভাইজানের ‘কভি ঈদ কভি দিওয়ালি’ ছবিতে অভিনয় করবেন তিনি।
সানাকে ছবিতে বলি সুপারস্টারের বিপরীতে নয়, বরং শোনা যাচ্ছে পাঞ্জাবি অভিনেতা জাসসি গিলের বিপরীতে দেখা যাবে। যাই হোক না কেন, সল্লু ভাইয়ের সঙ্গে তিনি যে স্ক্রিন শেয়ার করবেন, একথা প্রায় নিশ্চিত।
ক্যাটরিনা কাইফ- বড় পর্দায় সালমান খান, ক্যাটরিনা কাইফ জুটি মানেই সুপারহিট। একসঙ্গে একাধিক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন দু’জনে।
ভাইজানের সঙ্গে ক্যাটরিনাকে এরপর ‘টাইগার ৩’ ছবিতে দেখা যাবে। ২০২৩ সালে ঈদে মুক্তি পাবে ছবিটি। উল্লেখ্য, ‘টাইগার ৩’তে সালমান-ক্যাটরিনার সঙ্গেই অভিনয় করেছেন ইমরান হাশমিও।
রশ্মিকা মান্দানা- সাউথের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, ‘পুষ্পা’ ছবির শ্রীভল্লিকেও সলমনের বিপরীতে দেখা যাবে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, রশ্মিকাকে ‘নো এন্ট্রি ২’ ছবিতে ভাইজানের বিপরীতে দেখা যাবে।
ছবিতে শুধু রশ্মিকা একা নন, আরও অনেক অভিনেত্রী থাকবেন। এটি একটি মাল্টিস্টারার মুভি হতে চলেছে।
এবার দেখার- দক্ষিণী সুন্দরী যদি শেষ পর্যন্ত ছবিতে থাকেন, তাহলে ভাইজানের সঙ্গে তাঁর রসায়ন দর্শকদের পছন্দ হয় কিনা।
অনশন নয়, ‘বড় ভাইদের’ জানিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরলেন ইডেনের সেই নেত্রীরা
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত ১৬ নেতা-কর্মী ঘোষণা করেছিলেন, দল থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও ‘সুষ্ঠু বিচারের’ দাবিতে আমরণ অনশনে যাবেন তাঁরা।
তবে আজ সোমবার দুপুরের দিকে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বের হয়ে তাঁরা বলেছেন, এখন আর অনশন করবেন না। ‘বড় ভাইদের’ কাছ থেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পাওয়ার পর তাঁরা ক্যাম্পাসে ফিরছেন।
আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ১০ থেকে ১২ নেতা-কর্মী ঢোকেন। তখন তাঁরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। এক ঘণ্টা ভেতরে অবস্থানের পর বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে তাঁরা বের হয়ে আসেন।
ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি (সদ্য বহিষ্কৃত) জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা বিষয়গুলো বড় ভাইদের জানাতে এসেছিলাম। জানিয়ে এখন চলে যাচ্ছি। সমস্যা সমাধানে তাঁরা দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা কোনো অনশনে নেই। আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই।’ তবে ভেতরে কার সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করেছেন, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।
সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন, তাঁরা এখন কোথায় যাচ্ছেন? জবাবে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেছেন, ‘বড় ভাইদের’ সঙ্গে কথা বলার পর তাঁরা এখন ক্যাম্পাসে ফিরছেন।
এর আগে বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আজ ইডেন কলেজ ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন
বহিষ্কারাদেশকে ভিত্তিহীন বললেন ইডেনের সেই নেত্রীরা, যাচ্ছেন অনশনে
ইডেন কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃতদের সংবাদ সম্মেলন। ২৬ সেপ্টেম্বর, ঢাকা
ছাত্রলীগের অন্তঃকোন্দলে গত দুই দিন উত্তপ্ত ছিল ইডেন কলেজ ক্যাম্পাস। দুই পক্ষের সংঘর্ষে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন ওরফে রীভা, সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে ইডেন কলেজ কমিটি স্থগিত ও ১৬ নেতা-কর্মীকে (১২ নেত্রী ও ৪ কর্মী) স্থায়ী বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
আজ ‘বিনা তদন্তে বহিষ্কার, নেপথ্যে কারা’ শিরোনামে ওই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি সুস্মিতা বাড়ৈ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার ওরফে বৈশাখী। বক্তব্যের প্রথম অংশ পড়ে শোনান সুস্মিতা। এতে বলা হয়, ‘প্রাথমিক তদন্তে বহিষ্কার বিষয়টি আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়। নির্যাতনের শিকার সহযোদ্ধার পাশে দাঁড়ানোর অপরাধে আজ আমাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ও হাজার হাজার প্রমাণ আছে। তাঁদের চাঁদাবাজির ভিডিও, ইডেন কলেজের অধ্যক্ষকে নিয়ে কটূক্তিসহ বিস্তর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কেন বহিষ্কার করা হলো না? কোন তদন্তের ভিত্তিতে আমাদের ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো?’
লিখিত বক্তব্যের দ্বিতীয় অংশ পড়ে শোনান সামিয়া আক্তার। এতে বলা হয়, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষে শুধু একটা পক্ষকে কেন গণহারে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো? ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটে কোনো সমস্যা হলে তার তদন্ত বা সমাধানের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। আমাদের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম না মেনে কেন সরাসরি স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো? সংবাদ সম্মেলনে আমরা ২১ জন নেত্রী উপস্থিত ছিলাম৷ সেখান থেকে ১২ জনকে কেন বহিষ্কার করা হলো? আমাদের বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। আমাদের একমাত্র অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যদি এই ভিত্তিহীন বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হয়, আমরা সবাই এর সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন করব।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে ইডেন কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান বহিষ্কৃত নেত্রীরা। আর সেখান থেকে বের হয়ে তাঁরা বলেছেন, অনশন করবেন না।