The news is by your side.

রুম্পাকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি: চিকিৎসক

0 706

 

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মরদেহের ময়নাতদন্তে ধর্ষণের কোনো আলামত পায়নি ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ।

শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।

সোহেল মাহমুদ বলেন, নিহত রুম্পার ময়নাতদন্তের তিনটি রিপোর্টের মধ্যে একটি হাতে পেয়েছি। সেটি হলো- মাইক্রোবায়োলজিক্যাল রিপোর্ট। এই রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। আরও দু’টি বাকি আছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু ময়নাতদন্ত করেই হত্যা না আত্মহত্যা, সেটি নির্ণয় করা যাবে না। এর জন্য পারিপার্শ্বিক অন্য অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়।

এর আগে রুম্পার মামলার তদারক কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) উপ-কমিশনার জানিয়েছিলেন, রুম্পার হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সিদ্ধেশ্বরী নিউসার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে পড়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

একটি সূত্র জানায়, ঘটনার দিন মৃত্যুর আগে রুম্পা রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী নিউসার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পঞ্চম তলায় তার এক বান্ধবীর বাসায় যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে আব্দুর রহমান সৈকতের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক বিচ্ছেদের কথা বলে কান্নাকাটি করেন। সে সময় তিনি মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত ছিলেন। বান্ধবী তাকে বুঝিয়েও মন ভালো করতে পারেননি। এক পর্যায়ে বান্ধবীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় ফেরার কথা জানান রুম্পা। তবে তিনি আর বাসায় ফেরেনি বলে তদন্তে জানা গেছে।

রুম্পার বান্ধবী এ বিষয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন, সৈকতের সঙ্গে রুম্পার প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। সম্পর্ক ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর থেকে রুম্পা মানসিক অশান্তির মধ্যে ছিল। এই নিয়ে রুম্পা তার বাসায় এসে কান্নাকাটির এক পর্যায়ে কিছুটা অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছিল।

ঘটনাটি রহস্যজনক হওয়ায় রমনা থানার এসআই আবুল খায়ের সেই রাতেই অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ১১ ডিসেম্বর রুম্পার বন্ধু আব্দুর রহমান সৈকতকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

৪ ডিসেম্বর রাতে সিদ্ধেশ্বরী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন রাতে স্বজনেরা রমনা থানায় লাশের ছবি দেখে রুম্পার পরিচয় শনাক্ত করেন।

রুম্পার বাবা মো. রুকুন উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত। মা নাহিদা আক্তার পারুল গৃহিণী। এক ভাই ও এক বোনের রুম্পা সবার বড় ছিলেন। রাজধানী ঢাকার শান্তিবাগে একটি ফ্ল্যাটে মায়ের সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করতেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করাতেন রুম্পা।

পারিবারিক সূত্র জানায়, ঘটনার আগে রুম্পা টিউশনি করে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। পরে কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে নিচে নেমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ও পরা স্যান্ডেল বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে এক জোড়া পুরনো স্যান্ডেল পায়ে বেরিয়ে যান তিনি। কিন্তু রাতে আর বাসায় ফেরেননি রুম্পা। স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে রমনা থানায় গিয়ে রুম্পার মরদেহের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন স্বজনরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.