The news is by your side.

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট

শিক্ষকসহ ২৮৯ টি পদের মধ্যে ১৬৯টি পদ শূন্য

0 328

জহির রায়হান, বরিশাল

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে জোড়াতালি দিয়ে চলছে পাঠদান। নেই চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষক। পাশাপাশি কলেজটি প্রতিষ্ঠার ৫৪ বছরেও চালু হয়নি এমএস-এমডির মতো গুরুত্বপূর্ণ কোর্সসমূহ। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাঙ্খিত উচ্চশিক্ষা।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজটিতে শিক্ষকসহ ২৮৯ টি পদের মধ্যে ১৬৯টি পদই শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে অধ্যাপকের ৪৩টি পদের বর্তমানে আটজন, ৫৬ টি সহযোগী অধ্যাপক পদে ২১ জন, ১১১ টি সহকারী অধ্যাপকের পদের ৫২ জন এবং প্রভাষক, মেডিকেল অফিসার, প্যাথলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট ও ফার্মাসিস্টের ৭৯টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৩৯ জন। সবমিলিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে বর্তমানে প্রায় ১৩শ শিক্ষার্থীর পাঠদান ও তদারকির জন্য শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১২০ জন।

এমবিবিএস শিক্ষার্থীরা ভিশননিউজ২৪.কমকে বলেন, এমবিবিএস পাস করার পর প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের  পেশাগত দক্ষতা অর্জন এবং উন্নয়নে  উচ্চশিক্ষার  জন্য এমএস,এমডি’র মতো গুরুত্বপূর্ণ কোর্স সম্পন্ন করতে হয়।

কিন্তু কলেজটি প্রতিষ্ঠার ৫৪ বছরেও চালু হয়নি এসব গুরুত্বপূর্ণ অনেক কোর্সসমূহ। আবার যেসব উচ্চশিক্ষার কোর্সগুলো চালু আছে তাও আবার অধ্যাপক,শিক্ষক সংকট সহ নানা জটিলতায় চলছে জোড়াতালি দিয়ে। এতে আমরা মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা, ব্যবহারিক ক্লাসসহ নানা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এছাড়াও এসব কোর্স সম্পন্ন  করতে যেতে হচ্ছে ঢাকা সহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে।

মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম আকবর কবির ভিশননিউজ২৪.কম কে বলেন, এমন শিক্ষক  সংকট পরিস্থিতিতে  শিক্ষার্থীদের কাঙ্খিত পানদানে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।  তবুও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আর উন্নত শিক্ষার কথা চিন্তা করে সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন এখানকার কর্মরত শিক্ষকরা।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান শাহীন ভিশননিউজ২৪.কম কে বলেন, শিক্ষকশূন্যতার বিষয়ে প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে। সরকারও শুন্য পদে পদায়নে আন্তরিক। তবে সারাদেশেই প্রায় মেডিকেল কলেজে  শিক্ষকদের সংকট রয়েছে।

অধ্যাপক মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে এখন যে শিক্ষক কর্মরত আছেন তাদেরকে দিয়েই পাঠদান চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। তাতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে তেমন শিখন ঘাটতি হচ্ছে না। আর ঢাকার বাইরে এখন এমএস-এমডি কোর্স চালু করছে না সংশ্লিষ্টরা। তবে চালু করলে এই কলেজেও চালু হবে বলে আশাবাদী অধ্যক্ষ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.