স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। নিজের শরীরকে অসম্ভব ভালবাসেন। রকমারি পোশাকে সাজান নিজেকে। চল্লিশে এসেও বাঁচেন তরতাজা তরুণীর মতো। কী সেই মন্ত্র? জানালেন স্বস্তিকা নিজেই।
‘তাসের ঘর’-এর নায়িকা ফের সরব নিজের নতুন জীবন-সফর নিয়ে। স্বস্তিকার বক্তব্য, ‘পেশার কারণে আমার শরীর সব সময়েই আমার কাছে আগ্রহের বিষয়। আমার ত্বকের রঙ বা শরীরের গড়ন নিয়ে কখনওই চিন্তিত ছিলাম না, অসাধারণ কিছু পেয়েছি বলেও মনে করিনি। তবে লোকে নানা কথা বলেন।
কেউ বলেন আমার শরীর ছিরিছাঁদহীন, কেউ বলেন কার্ভি, কেউ ভাবেন আমি চর্বির স্তূপ, কেউ আবার ভাবেন আমি আকর্ষণীয়। কিন্তু আমি নিজেকে দেখি একটা ফাঁকা পাত্র হিসেবে।
চরিত্রে অভিনয় করার প্রয়োজনে কখনও ওজন বাড়াই, কখনও কমাই। বাঁধাধরা চেহারা কখনওই তো থাকে না।’ শুধু শরীর বা চেহারা নয়, স্বস্তিকা অকপট তাঁর জীবনযাপন থেকে জীবনবোধ— সব নিয়েই। তাঁর নিজের কথায়, ‘‘এক সময়ে জীবনরসে ভরপুর দিন কেটেছে। ইচ্ছেমতো খেয়েছি, আনন্দ করেছি। কিন্তু বয়স চল্লিশ ছুঁতেই আমি স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হলাম। শরীরচর্চা শুরু করলাম।
ফিটনেস ট্রেনার আমায় বলে যাচ্ছে, আর একটু, আর একটু। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই মনে হল পারব না। এক ইঞ্চি বদলাতে ১০০ বছর সময় নিয়ে ফেলব। প্রতি দিন কেঁদেছি। তবে হাল ছাড়িনি।
আমার শরীরের যে জায়গাগুলোয় মায়ের আদর আঁকা ছিল, সেগুলো একটু একটু করে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মনে হয়, মা হয়তো খুশিই হবেন। কারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমি এই সব কিছুই আমার নিজের জন্য করছি।’’
অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি পর্দার বাইরেও উজ্জ্বল উপস্থিতি স্বস্তিকার। সকাল হোক বা সন্ধে, মানানসই পোশাকে যে কোনও আসরে নজর কাড়েন ‘টেক ওয়ান’-এর নায়িকা। যদিও শরীর নিয়ে বহু বার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। তার সোজাসাপটা জবাবও দিয়েছেন। এখনও নিজের মতো থাকতে চেষ্টা কসুর করবেন না তিনি, সে কথাই নতুন করে বুঝিয়ে দিলেন স্বস্তিকা।