জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় আট আসামির সবার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আট আসামির সবাইকে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে রায়ে।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলো- মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাধ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। মামলায় প্রথম দুই আসামি পলাতক আছেন।
এর আগে আজ সকালে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছয় আসামিকে আদালতে আনা হয়। বেলা ১২টায় বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। এসময় পলাতক দুই আসামি ছাড়া ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২৪ জানুয়ারি রায়ের জন্য এ তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।
গত ২৩ ডিসেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ছিলেন। দীপনকে হত্যার পর ওই দিনই তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় মামলা করেন।