নিজস্ব প্রতিবেদক
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. আবু তাহের অভিযোগ গঠন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে অপর চার আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
অব্যাহতি প্রাপ্ত অপর দুজন হলেন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
যাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে, তারা হলেন, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম এবং পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদক উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এর মধ্যে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এছাড়া বিচার চলাকালীন অপর সাতজন মারা যান।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন করা হয়।
এর আগে, আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করেন। এর পলে খালেদা জিয়ার ৭ বছরের সাজা বাতিল হলো।