The news is by your side.

‘লাইফ ইজ় আ জার্নি’ : শাকিব খান

‘কোনও ভাঙনই সুখের নয়! মানুষ একা থাকতে পারে না’,

0 84

 

সম্পিতা দাস

বড় পর্দার ‘কিং’, । ‘তুফান’ মুক্তি পাওয়ার পর সে দেশের পটভূমিই বদলে গেল। এমন পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর কেমন আছেন শাকিব খান? অপু-বুবলী থেকে তৃতীয় বিয়ের গুঞ্জন— সব নিয়ে অকপট অভিনেতা।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন কেমন আছেন?

শাকিব: খুব ভাল আছি। আমার কোনও অসুবিধে নেই। আমি একজন অরাজনৈতিক মানুষ। সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে।

প্রশ্ন: শাকিবের আর এক নাম ‘কিং খান’, ভারতে শাহরুখ খানকে এই নামে ডাকা হয়। আপনি তাঁর সঙ্গে নিজের কোনও মিল খুঁজে পান?

শাকিব: শাহরুখ খান একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মহাতারকা। এশিয়া মহাদেশের তারকাদের কাছে উনি অনুপ্রেরণার আর এক নাম। আমি মনে করি, শুধু ভারত নয়, সমগ্র মহাদেশের গর্ব তিনি। তাঁর সঙ্গে তুলনার প্রশ্নই ওঠে না, আমি চিন্তাও করিনি কখনও এমন। তবে মানুষ একটু হলেও তাঁর মতো করে আমাকে ভালবাসেন; বোধহয় এই মিলটুকু খুঁজে পাই। এটাই ভাল লাগার জায়গা।

প্রশ্ন: সোনালকে নায়িকা হিসেবে কত নম্বর দেবেন, তাঁর কোন গুণটা ভাল লেগেছে?

শাকিব: সোনাল ভীষণ সহযোগিতা করেছেন। চেষ্টা করেছেন ভেঙেচুরে নতুন ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার। শুটিংয়ের সময় ওঁর যে মনোযোগ দেখেছি, আমার খুব ভাল লেগেছে, খুব খুশি কাজ করে। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ এবং ভারত বিশ্বের যেখানে ‘দরদ’ ছবিটি দেখানো হবে, দর্শকের ওঁর কাজ ভাল লাগবে।

প্রশ্ন: ‘তুফান’ বাংলাদেশে প্রায় রেকর্ড গড়েছে, কিন্তু কলকাতায় সেই ম্যাজিক করতে পারল না, কারণ কী মনে হয়?

শাকিব: কলকাতায় বাণিজ্যিক ছবির বাজার খুবই মন্দা। যতটুকু গিয়ে দেখলাম, খোঁজখবর নিলাম ওখানকার বড়বড় তারকারই কত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু অনেক বছর ধরে কলকাতার মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির বাজার ভাল নয়। ‘তুফান’-এর সাফল্য কিন্তু শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ না, সারা বিশ্বে সাফল্য পেয়েছে। ছবির এই সাফল্য গত বছর ‘প্রিয়তমা’র হাত ধরে শুরু হয়েছে। পৃথিবীর বড় শহরগুলিতে পর পর মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি যেমন ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’, ‘তুফান’— সব ক’টাই সফল হয়েছে। আমি লক্ষ করছি, সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ছবির বাজার তৈরি হয়ে গেছে। স্টকহোম, ডাবলিন, প্যারিস, মিডল ইস্ট, নর্থ আমেরিকা ছাড়াও বহু শহরের প্রেক্ষাগৃহে হলিউডের ছবিগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এবং সাফল্য পাচ্ছে। যেটা আগে ভাবনার বাইরে ছিল। কিন্তু আমি এই স্বপ্নটাই দীর্ঘ দিন ধরে দেখে আসছি যা এখন সত্যি হয়েছে।

প্রশ্ন: দুই ছেলে তো আপনার দেশে আছে, ওদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী পরিকল্পনা আছে?

শাকিব: ওরা এখনও অনেক ছোট। বুঝতে শেখেনি। ওরা স্কুলে যাচ্ছে, লেখাপড়া করছে। বাবা হিসেবে আমি ওদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চাই। আমি চাই ওরা আমার চেয়েও অনেক বড় হোক। ওদের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেয়ার জন্য যা যা করতে হয় বাবা হিসেবে আমি করে যাব।

প্রশ্ন: বার বার আপনার ব্যক্তিগত জীবন, আর ভাল ভাবে বললে বিয়ে নিয়ে নানা কাটাছেঁড়া হয়েছে, মানুষ শাকিবকে কতটা আঘাত দেয় এ সব?

শাকিব: আঘাত তো দিয়েছেই। কোনও ভাঙনই তো সুখের নয়। যতটুকু হয়েছে, হয়তো সেটুকুই হওয়ার ছিল। ‘লাইফ ইজ় আ জার্নি’। এই যাত্রায় অনেকের সঙ্গে দেখা হয়, পরিচয় হয়। আমার জীবনে দু’জন (অপু-বুবলী) মানুষ অতীত, এটা আগেও বলেছি। অতীত হিসেবে তাঁরা থাকুক। এ সব নিয়ে আমার আক্ষেপ-ভ্রুক্ষেপ কিছুই নেই। যা হয়েছে হয়তো ভালর জন্য হয়েছে। আমার দুই সন্তান, বাবা-মা, বোন ও তার পরিবার, কিছু কাছের আপন মানুষ, আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং দেশ-বিদেশের কোটি কোটি ভালবাসার মানুষ রয়েছে, যাঁরা আমাকে অঢেল ভালবাসা দেন; তাঁদের সবাইকে নিয়ে আমি খুব ভাল আছি।

প্রশ্ন: শোনা যাচ্ছে শাকিব খান নাকি ফের বিয়ে করবেন, তা-ও আবার সম্বন্ধ করে, পাত্রী নাকি চিকিৎসক! সত্যিই কি কখনও ফের সংসারী হবেন?

শাকিব: মানুষ একা থাকতে পারে না। পরিবার এবং সমাজ নিয়ে বেঁচে থাকে। দেখা যাক, কোনও তাড়াহুড়ো নেই যে নির্দিষ্ট কোনও বছরের মধ্যে বিয়ে করতে হবে। যদি তেমন কিছু হয় পারিবারিক ভাবে হবে এবং সেটা বিয়ের পর্যায়ে যাবে। আমার বাবা-মার যেহেতু বয়স হয়েছে সন্তান হিসেবে তাঁরা আমাকে সংসারী দেখতে চান।

প্রশ্ন: বড় তারকা হওয়ার বিড়ম্বনা কিছু আছে?

শাকিব: অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যেটা দেখি ভিত্তিহীন খবর। উদ্ভট সব জিনিস লেখা হয়। যার কোনও সত্যতা নেই, যা কখনও ঘটেনি সেগুলো অনেকে রং মিশিয়ে লিখে দেয়। এখন ভিউ নিয়ে শুধু প্রতিযোগিতা। সেই কারণে এ সব হয়ে থাকে। এগুলো মাঝেমাঝে বিরক্তিকর লাগে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় মানুষ কাছে আসার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন, ঘিরে ধরেন। অস্বস্তি হয় কখনও কখনও। তবে জানি, এটা আসলে ভালবাসার কারণে হয়। এই ভালবাসার কারণেই তো আমি।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.