The news is by your side.

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ শেখ হাসিনার, মধ্যস্থতায় জয়-টিউলিপ

0 86

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি ব্রিটিশমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি। গতকাল শনিবার গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়, যাতে মধ্যস্থতা ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ।

রাশিয়া একাধিক মালয়েশীয় ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে এই অবৈধ অর্থ দেয়। ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বাংলাদেশের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। দক্ষ কর্মীও ছিল না। তাই পুরো কাজটি রাশিয়া করে এবং বাংলাদেশ সরকারের কোনো নজরদারি ছিল না। শেখ হাসিনা ৫০০ কোটি ডলার নিয়ে রাশিয়াকে এই সুবিধা দিয়েছিল।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আশা করা হচ্ছে, এটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর দেশের ২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে। রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে খরচ ধরা হয় ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি।

২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, সে সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।

২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প বলছে, এ কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থপাচার করতেন শেখ হাসিনা।

এ ছাড়া কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ জিনিসপত্র কেনায় ব্যাপক অনিয়মের কথা বলেছে সংবাদমাধ্যমটি। একটি ইলেকট্রিক স্টোভের দাম ধরা হয়েছে ১২০ ডলার, বালিশের দাম ১০০ ডলার আর এর পরিবহন খরচ ৫০ ডলার ধরা হয়েছিল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.