প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে যত অপরাধ হয়, তার সবই করে বিএনপি। বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা হয়নি। সবই অপরাধের কারণে হয়েছে।
শুক্রবার সকালে গণভবনে কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার দাবি করছে, কিন্তু দেশের জেলগুলোতে এত ধারণক্ষমতাই নেই। তিনি বলেন, তারা বাস, লঞ্চ, ট্রেন জ্বালিয়ে দিলে মামলা তো হবেই। তবে এসব কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়, এগুলো অগ্নিসন্ত্রাসের মামলা, দুর্নীতির মামলা, গ্রেনেড হামলার মামলা।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপরে যে পরিমাণ অত্যাচার করা হয়েছিল, সে তুলনায় এখন তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ নয় বলে বিএনপি কথা বলার সুযোগ পায়। আমরা প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত থাকিনি, আমরা মেধা কাজে লাগিয়েছি দেশের উন্নয়নে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কখনই চায়নি এ দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক। তারা চেয়েছে অন্য দেশ থেকে ভিক্ষা করে দেশ চালাতে। একসময় যারা নুন-ভাতের কথা বা ডাল-ভাতের কথা চিন্তা করতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংস-ডিমের কথাও চিন্তা করে। ফলে যারা সরকারের সমালোচনা করেন, তাদের সেগুলো মাথায় রেখে উন্নয়ন হয়েছে কিনা তা বিবেচনা করতে হবে।
সরকার কৃষিতে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়নে সমবায়ে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার পরামর্শ দেন।
এ সময় ফসল উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার দিকে খেয়াল রাখার নির্দেশনাও দেন শেখ হাসিনা। দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখ করে তা ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা চান কৃষক লীগ নেতাকর্মীদের কাছে। তিনি বলেন, উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় বীজ উৎপাদন বিএডিসিসহ নানা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই কৃষি গবেষণায় জোর দেয়। বীজ, মাছ, ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করছে।