সাধারণ ছুটিতে ৯৫ শতাংশ মানুষ উপার্জনের দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর ৫১ শতাংশ খানাভিত্তিক কোনো আয় হয়নি। দৈনিক মজুরির ওপর নির্ভরশীল ও স্বল্প আয়ের মানুষের ৬২ শতাংশ চাকরি বা উপার্জনের সুযোগ হারিয়েছে। আর্থিক কর্মকাণ্ডের দিক থেকে নিষ্ফ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে ২৮ শতাংশ মানুষ।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের একটি জরিপে এমন চিত্র উঠে এসেছে। গত ৯ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলায় পরিচালিত এই জরিপে বিভিন্ন আর্থসামাজিক অবস্থার দুই হাজার ৩১৭ জন অংশ নেন। এর মধ্যে ৬৮ শতাংশ গ্রামাঞ্চল ও ৩২ শতাংশ শহরের বাসিন্দা। অংশগ্রহণকারীদের ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ ও ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
মঙ্গলবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই জরিপের ফল তুলে ধরা হয়। এ সময় প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজির সাবেক প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক শামেরান আবেদ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান এবং ব্র্যাকের পরিচালক নবনীতা চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোর্শেদ।
দেশের পাঁচ জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বলে জরিপে উঠে এসেছে। এসব জেলার মধ্যে পিরোজপুর ৯৬ শতাংশ, কক্সবাজার ও রাঙামাটি ৯৫ শতাংশ, গাইবান্ধা ৯৪ শতাংশ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৯৩ শতাংশ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ১১ শতাংশ বেড়েছে। ৫৮ শতাংশ মনে করে, সংক্রমণকালীন মানুষের দারিদ্র্য বৃদ্ধি এর প্রধান কারণ।