ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘যেকোনো সিন্ডিকেট ও যেকোনো অপতৎপরতাকে সমূলে ভেঙে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। প্রয়োজনে বড় বড় বাজারে সিটি কর্পোরেশনের সাথে আমাদের পুলিশও অংশগ্রহণ করবে। যাতে যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় করা যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যেই মনিটরিং কমিটি যারা আছে তাদের সঙ্গে পুলিশও থাকবে।’
বৃহস্পতিবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টারের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সাভায় তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বাজারে কোনো জিনিসের স্বল্পতা নেই। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে সংকট তৈরি হয়। আগে দৌলতদিয়া ঘাটে অনেক কাঁচামাল আটকে থেকে পচে যেত। পদ্মাসেতু হওয়ার পর সেখানে এখন আর কোনো মালামাল আটকে থাকছে না।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বাজার অস্থিতিশীলতার শঙ্কায় রয়েছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো শঙ্কা নেই। সমন্বয়ের কিছুটা অভাব রয়েছে। আমাদের যেই মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে এটা ভোক্তা অধিকার বা পুলিশের পক্ষে একা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারিত হয় চাহিদা যোগানের ভিত্তিতে। সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশ তাল মিলিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, যেই অপতৎপরতা আমরা দেখতে পেয়েছি সকল জিনিসের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। কোনো ব্যবসায়ী বলেনি কোনো পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সব পাওয়া যাচ্ছে এবং যেই দাম তা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা হচ্ছে।
কমিশনার বলেন, সবজি উৎপাদনে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয়। আমাদের এমন থাকার কথা নয়। যেই বিষয়টি তা হলো সমন্বয়ের অভাব, সবাই একসাথে কাজ করলে, সবাই সহযোগিতা করলে তখন অবশ্যই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সিন্ডিকেটের পিছনে রাজনৈতিক যোগসূত্রতা রয়েছে সেটা ভাঙা সম্ভব কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমাদের কাছে সিন্ডিকেটের বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক অপতৎপরতা কারোর আছে- এটি পরিস্কার নয়। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা আছে তারা কাজ করছেন। যদি এই ধরনের কোনো কিছু আমাদের কাছে আসে আমি পরিস্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, যেকোনো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যেকোনো অবস্থায় তৎপর এবং যেকোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার জন্য সেই সক্ষমতা ঢাকা মহানগর পুলিশের রয়েছে।