ইসরায়েলকে থামাতে পারেন না,বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এত মাথা ঘামাচ্ছেন? যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে কাদের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুষ্টু ছেলে ইসরায়েলকে থামাতে পারেন না, হাইতির গান ভায়োলেন্স থামাতে পারেন না? বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এত মাথা ঘামাচ্ছেন?
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির প্রথম সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে কঠিন দিন। কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। আমরা সেটা অতিক্রম করতে পারব। অতীতেও করেছি। আমাদের দলের সাহসী ক্যাপ্টেন আছে। সময়ের সঙ্গে বাস্তবতার আলোকে ইশতেহার করতে হবে। ঢাউস ইশতেহার দরকার নেই। আমাদেরও অ্যাকশনে যেতে হবে। ওই রকম ইশতেহার করেন। নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা ভাবতে হবে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ভাবতে হবে। ২০২৬ সাল, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। সর্বোপরি ২০৪০ সাল আমাদের মাথায় রাখতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেছে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হবে।
জো বাইডেন বলেছেন ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে আমেরিকার গণতন্ত্র ধ্বংস হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে আমিও বলি, বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। আমরা আমাদের নিয়মে চলব। আমাদের হুমকি দিয়ে লাভ নেই। কে কারে নিষেধাজ্ঞা দিল এটা আমাদের বিষয় নয়। আমরাতো নির্বাচন করতে চাই। যারা বাধা দেবে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা, হুমকি দিন।
নির্বাচন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। কে নির্বাচনে এল, কে এল না, সেটা বিষয় নয়। আওয়ামী লীগ চায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যা করব সংবিধান অনুযায়ী। এর বাইরে আমাদের কোনো চিন্তা নেই।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নাকি আমাদের কয়েক দিনের মধ্যে তাড়িয়ে দেবে। গাজীপুরে বলেছি, আমরা অক্টোবরে আছি, আগামী অক্টোবরেও থাকব। কি কারণে ক্ষমতা ছেড়ে দেব? কি কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার পুনর্জীবিত করব? কেন শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হবে? জনগণ তাকে চায়, বিকল্প ভাবে না। সংকটে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো তার সমকক্ষ কেউ নেই। বিশ্ব বিবেকের কাছে প্রশ্ন—তার চেয়ে যোগ্য বিকল্প প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে কেউ আছে?
নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার আকার নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেটা ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রী। এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। নির্বাচনকালীন সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক হবে। মেজর পলিসি গ্রহণ করবে না। এটা নতুন কিছু নয়, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। মেজর পলিসি থাকবে না।