বিএনপির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতার সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়েছে— তারা (বিএনপি নেতারা) কি আদৌ চিকিৎসা নিতে গেলেন, নাকি আবার কোনো ষড়যন্ত্র করতে একসঙ্গে সিঙ্গাপুর গেলেন, এটি অনেকের প্রশ্ন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (২৭ আগস্ট) এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চিকিৎসার জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। সঙ্গে তাদের স্ত্রীরাও রয়েছেন। তাদের আগে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান টুকুও দেশের বাইরে।
এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র করার উদ্দেশ্যে তাদের তিন নেতা একইসঙ্গে সিঙ্গাপুর গেলেন কিনা এটি অনেকের প্রশ্ন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির ঘরের মধ্যে এখন অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে। পত্রিকায় দেখলাম, চট্টগ্রামে ছাত্রদল বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। কখন যে নয়া পল্টনের অফিসে যুবদল তালা লাগিয়ে দেয়, সেটি দেখার বিষয়। তাদের (বিএনপি) ঘরের মধ্যে এখন অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে। নইলে ছাত্রদল বিএনপি অফিসে তালা লাগানোর কথা না। এই অন্তর্জ্বালা শুরু হওয়ার কারণ হচ্ছে— বিদেশিদের কাছে বারবার ধর্না দিয়ে কোনও লাভ হয়নি। বিদেশিরা তাদের দাবি-দাওয়া, তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার— এগুলোর প্রতি কোনও সমর্থন জানায়নি। বিদেশিরা শুধু একটি সুন্দর নির্বাচন দেখতে চায় বাংলাদেশে। আমরাও (আওয়ামী লীগ) একটি সুন্দর নির্বাচন করতে চাই।’
বিএনপির নির্বাচন বর্জন করার অধিকার আছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, এবার নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা যদি কেউ করে, তাহলে দেশের মানুষ কঠোর হাতে সেটি প্রতিহত করবে। এটি ২০১৪ সাল নয়, এটি ২০২৩ সাল। এখন ২০১৩-১৪ সালের পুনরাবৃত্তি করবেন, সেটি এদেশের মানুষ করতে দেবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ থেকে যদি অপরাজনীতি, মানুষ হত্যার রাজনীতি, জিঘাংসার রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হয়, তাহলে যারা প্রতিহিংসা ও অপরাজনীতি করে, তাদের রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে বিদায় করা দরকার। নইলে এই অপরাজনীতি বন্ধ হবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও আইভি রহমান পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।