ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ ছুঁয়েছে শতক। বাজার ব্যবধানে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
দাম কমাতে ভারতের বিকল্প রপ্তানিকারক হিসেবে চীন, পাকিস্তান, মিসর, তুরস্ক, কাতার, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাতটি দেশ থেকে সাড়ে ১৭ হাজার টন পেঁয়াজ আসছে দেশে।
চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ভারত। আগামী অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নতুন মৌসুম থেকে চিনি মিলগুলোকে রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থিতিশীলতার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
ভারত সরকারের বেশ কযেকটি সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। গত ৭ বছরের মধ্যে এবারই প্রথমবার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী অক্টোবর থেকে ভারতে নতুন মৌসুম শুরু হতে চলেছে এবং সেই সময় থেকেই মিলগুলোর ওপর চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে দেশটির তিনটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে।বিশ্ববাজারে ভারতের চিনির অনুপস্থিতি এই পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
যা বিশ্বব্যাপী খাদ্য বাজারে আরও মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা তৈরি করছে।একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের মনোযোগের বিষয় হচ্ছে- স্থানীয় চিনির চাহিদা পূরণ করা এবং উদ্বৃত্ত আখ থেকে ইথানল তৈরি করা। আসন্ন মৌসুমে রফতানি কোটার জন্য জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত চিনি থাকবে না।’
গত মৌসুমে রেকর্ড এক কোটি ১১ লাখ টন চিনি রপ্তানি করেছিল ভারত। সেখানে চলতি মৌসুমের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিলগুলোকে মাত্র ৬১ লাখ টন চিনি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।