প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি খুনিদের দল, এদের হাতে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।
রোববার গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য একমাত্র আওয়ামী লীগই কাজ করেছে।
উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। মানসিক শক্তি, আওয়ামী লীগের শক্তি। আমাদের কোনো প্রভু নেই। জনগণই আমাদের প্রভু। জনগণের কাছেই আমরা দায়বদ্ধ।
তিনি বলেন, আমি দুর্নীতি করতে এখানে আসিনি। আমি মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি, নিজের ভাগ্য না। আমি ত্যাগ করতে এসেছি, ভোগ করতে না।অর্থ সম্পদের দিকে না তাকিয়ে মানুষের সেবা করে তাদের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছিলেন। ৩-৪ শতাংশও ভোট পড়েনি। কিন্তু তিনি ভোট চুরি করে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশের মানুষ এই ভোটচুরি মেনে নেয়নি। বাংলাদেশের মানুষ ভোট চুরি করলে মেনে নেয় না। কাজেই ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া ভোটচোর হিসেবে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এরপর ১২ জুন যেই নির্বাচন হয়, সেটিতে আমরা জয়ী হয়ে সরকার গঠন করি।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ওয়ান-ইলেভেন প্রসঙ্গটি এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণেই ওয়ান-ইলেভেন হয়েছিল। খালেদা জিয়া ভোটচোর হিসেবে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।
সভায় ২০০১ সালের নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের কারণে আওয়ামী লীগ হেরেছে বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, গ্যাস বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় এবং দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্তের কারণে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারেনি আওয়ামী লীগ।
স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করতে আওয়ামী লীগই সংগ্রাম করেছে বলে সভায় জানান সরকারপ্রধান।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বর্ধিত সভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি ছাড়াও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত আছেন। সভা পরিচালনা করছেন সেতুমন্ত্রী কাদের।
স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করতে আওয়ামী লীগই সংগ্রাম করেছে বলে সভায় জানান সরকারপ্রধান।